রাঙামাটিতে সহযোগীসহ সাংবাদিক কারাগারে
বাংলাদেশ টেলিভিশনের এক নারী সাংবাদিকসহ রাঙামাটি প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য করার ঘটনায় সহযোগীসহ এক সাংবাদিককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস কে এম তোফায়েল হাসান এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি এডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে পাঠানো বখাটেদের মধ্যে একজন রাঙামাটি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের রিজার্ভ বাজার পাথরঘাটা এলাকার তাইফুর রহমান প্রকাশ আক্তার হোসেন ঝুন্টুর ছেলে শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইমন (২১) এবং অপরজন একই এলাকার কালু ড্রাইভারের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন (২০)। এরমধ্যে শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইমন ইংরেজী পত্রিকা দৈনিক অবজারভারের রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি বলে জানা গেছে।
মামলার বাদী পক্ষের কৌসুলী এডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ জানান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রয়াত সাংবাদিক মোস্তফা কামাল এর স্ত্রী সাংবাদিক জাহেদা বেগম, এশিয়ান টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আলমগীর মানিক ও রাঙামাটি প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে জড়িয়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর মন্তব্য পোষ্ট করে ইমতিয়াজ ইমন প্রকাশ শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইমন। সেই পোষ্টটি শাখাওয়াত হোসেন নিজের ওয়ালে শেয়ার করে একইভাবে বিরূপ মন্তব্য করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়ে দুইজনকে সুনির্দিষ্ট আসামী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০ সেপ্টেম্বর’২০২১ রাঙামাটির কোতয়ালী থানায় মামলা করেন সাংবাদিক আলমগীর মানিক (কোতয়ালি থানার এফআইআর নং- ১৩/১৬৩, ডিআর মামলা নং ৪০৮/২১)।
উক্ত মামলায় উচ্চ আদালত হতে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেয় ইমন ও শাখাওয়াত। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জামিনের মেয়াদ শেষে সোমবার চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আবারও জামিন আবেদন করে তারা। বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের কৌসুলীদের বক্তব্য শুনে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।