রাঙামাটিতে ১ম এলপিজি ফিলিং স্টেশনের উদ্বোধন শনিবার

purabi burmese market

পাহাড়ী জেলা রাঙামাটিতে যানবাহনে এলপিজি’র চাহিদা মেটাতে ১ম বারের মত নির্মান করা হয়েছে এলপিজি ফিলিং স্টেশন। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বহুল প্রতিক্ষিত এই এলপিজি ফিলিং স্টেশনের যাত্রা শুরু হচ্ছে। ওইদিন সকাল ১০টায় শহরের রাঙাপানি সড়কের পাশে স্থাপিত এই ফিলিং স্টেশন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি আসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এটির উদ্বোধন করবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
রাঙামাটি শহরের স্বনামধন্য মরহুম হাজী আব্দুর বারী মাতব্বরের পরিবারের ছোট ছেলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মোঃ মুছা মাতব্বরের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই ফিলিং স্টেশন নির্মান করা হয়েছে। নিজের বাবা হাজী আব্দুল বারী মাতব্বরের নামে এই ফিলিং স্টেশন প্রায় ২০ শতক জমিতে নির্মানে খরচ হয়েছে অর্ধকোটি টাকা।

হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর জানান, রাঙামাটি শহরে এখন গ্যাস চালিত ব্যক্তিগত ও যাত্রীবাহী অনেক গাড়ি রয়েছে। যারা জেলার বাইরে গিয়ে বিভিন্ন এলপিজি ফিলিং স্টেশন থেকে তাদের চাহিদা পুরণ করে। যা সময় সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। এটি চিন্তা করে যানবাহন মালিক ও চালকদের দুর্ভোগ কমাতে এলপিজি ফিলিং স্টেশনের প্রয়োজনীতা উপলব্ধি করে এই উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি, রাঙামাটিবাসী এই ফিলিং স্টেশন দ্বারা উপকৃত হবেন।

তিনি আরো জানান, বাবার নামে করার পিছনে আরো একটি কারণ আছে। হাজী আব্দুল বারী মাতব্বর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নিই, সমাজের নিপীড়িত, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। ফিলিং স্টেশনের আয়ের একটি অংশ এখন থেকে এই ফাউন্ডেশনে জমা হবে, যা দ্বারা ফাউন্ডেশনের কর্মকান্ড আরো সুচারু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যাবে। শনিবার থেকে পুরোদমে ফিলিং স্টেশন চালু থাকবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, জেলায় ১ম বারের মত এলপিজি ফিলিং স্টেশন স্থাপন হওয়ায় স্থানীয়রা খুব খুশি। যাদের যানবাহন শুধুমাত্র গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল, তাদের অনেকখানি কষ্ট লাগব হবে বলে জানা গেছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের স্থানীয় সিএনজি চালক মোঃ মাবদু জানান, এটা অবশ্যই খুশির খবর। এখানে ফিলিং স্টেশন না থাকায়, চট্টগ্রাম, রাউজান অথবা নোয়াপাড়া গিয়ে গ্যাস নিতে হয়। এখন আর সেই কষ্ট করা লাগবে না। সময়ও বাঁচবে। মিনি মাইক্রো, নোহা ও হাইচ ডাইভার দিদার, ফয়েজ, দীপংকর, দীলিপরা সুর মেলালেন সিএনজি ড্রাইভার মাবুদের সাথে। ফিলিং স্টেশন হওয়াতে তাদের চোখেমুখে যেন স্বস্তি ফিরে এসেছে।

dhaka tribune ad2
আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।