১০ টাকার চাল নিয়েও রাজনীতি শুরু হয়েছে রাঙামাটি শহরে এমন অভিযোগ উঠেছে গুটিকয়েক জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছে নেটিজনরা। সাধারন দুঃস্থ অসহায় জনগণ যাতে অপঃরাজনীতির বলি না হয় সেজন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ নজরদারি ছাড়াও প্রতিটি পাড়া মহল্লায় সচেতন নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছে তারা।
জানা গেছে,সরকারি ভাবে ডিলারদের মাধ্যেমে আজ রবিবার থেকে ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি করা হবে জেনে রাঙামাটি পৌরসভার কিছু কিছু জনপ্রতিনিধি তালিকা করার কথা বলে নিজ এলাকার সাধারন অসহায়, দুঃস্থ অসহায়দের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি সংগ্রহ করেছে এবং রবিবার থেকে কখন কোথায় চাল বিতরণ করবে জানিয়ে দিচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, সামনে রাঙামাটি পৌরসভার নির্বাচনকে কাজে লাগাতে কিছু কিছু কাউন্সিলর এমন অপঃরাজনীতির সুযোগ নিচ্ছে। কোথাও কোথাও ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে টোকেন দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গুটিকয়েক জনপ্রতিনিধির এমন কর্মকান্ডে ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিশিষ্ট সমাজসেবক আশীষ দাশ গুপ্ত লিখেছেন, বর্তমান করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে চাল বিতরন করা হবে। এই চাল প্রতিজনে ৫ কেজি অব্দি নিতে পারবেন। এই চাল নেয়ার জন্য কোন প্রকার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করার প্রয়োজন নেই। খোলা বাজার এর এই চাল যে কেউ চাইলেই নিতে পারবেন। চাল নেয়ার সময় আইডি কার্ড দেখালেই হবে। অনুগ্রহ করে এই মহামারীর সময় কেউ এসব নিয়ে নোংরা রাজনীতিতে মেতে উঠবেন না।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বাপ্পা লিখেছেন, সরকারের ১০টাকা চাল ক্রয় করতে আইডি কার্ড আর তোদের টোকেন লাগবে তাই না? অসহায়দের নিয়েও রাজনীতি। দুঃসময়ে সরলতার সুযোগ নিয়ে পৌরসভার কিছু জনপ্রতিনিধিগণ যারা ব্যাক্তি উদ্দ্যেশে জনগণকে ঠকাতে বসে আছেন আপনাদের ওপর গজব পরুক।
বেলাল হোসেন রুবেল লিখেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছেন খোলা বাজারে ১০ টাকা দরে চাউল বিক্রি হবে এখানে কোন প্রকার কাউন্সিলারদের কার্ড বা টোকেনের দরকার নাই সকলের জন্য উন্মুক্ত।
রাজীব বঙ্গবন্ধুর সৈনিক নামে লিখেছেন, এখানে কোন রাজনীতির সুযোগ নাই আর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহায়তা সহযোগিতায় খোঁলা বাজারে ১০টাকা দঁরে শুধুমাত্র ৫ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন একজন আর নিজের আইডি কার্ড দেখানোর মাধ্যমেই। ভন্ড মুখোশধারী জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারী সুবিধা নিজের নামে প্রচারের জন্য যারা নামের লিস্ট নিচ্ছে বা ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি নিতেছেন তারা ধোঁকাবাজি করতেছে আর সেসব অমানুষদের জুঁতাপেটা করুন।
তবে জনপ্রতিনিধিদের কেউ কেউ এর প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, যারা এসব অপঃরাজনীতির সাথে জড়িত তাদের নামও প্রকাশ করা দরকার।
তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১০ টাকা দরে চাল কিনতে কোন প্রকার লিস্ট বা টোকেনের প্রয়োজন নেই। ভোটার আইডি কার্ড দেখিয়ে ডিলারদের কাছ থেকে ১ জন সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল সংগ্রহ করতে পারবেন।