রাঙামাটির কুতুকছড়িতে পিসিপির ছাত্র সমাবেশ

NewsDetails_01

রাঙামাটির কুতুকছড়িতে পিসিপির ছাত্র সমাবেশ
“স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অগণতান্ত্রিক দমনমূলক ১১ নিদের্শনা বাতিল কর” এই দাবি সম্বলিত শ্লোগানকে সামনে রেখে পাঠ্য পুস্তকে পাহাড়ি জাতিসত্তার অবমাননাকর উগ্র-জাতীয়তাবাদ ও সাম্প্রদায়িক বাক্য মুদ্রণের প্রতিবাদে এবং শিক্ষা সংক্রান্ত ৫দফা দাবি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে বুধবার দুপুর ১২টায় কুতুকছড়ি বড় মহাপুরুম স্কুল গেইট এলাকায় এক ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পিসিপির রাঙামাটি জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি কুনেন্টুু চাকমার সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিকন চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক থুইক্যচিং মারমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সদস্য মন্টি চাকমা প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত ২০০০ সাল হতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষাসহ শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু সরকার এখনো এসব দাবি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেনি। উপরন্তু ২০১৭ সালে প্রণীত পাঠ্য বইয়ে পাহাড়ি জাতিসত্তার অবমাননাকর উগ্র-জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িক বাক্য মুদ্রণ করেছে।
বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ২০১৭ সালে ৫টি জাতিসত্তার ভাষায় প্রাক প্রাথমিক বই বিতরণের মাধ্যমে জাতিসত্তার মাতৃভাষায় শিক্ষা চালু করার কথা থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো বই পৌঁছেনি। ফলে সরকারের এই উদ্যোগ কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। সমাবেশ থেকে বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সকল জাতিসত্তার নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু ও এ লক্ষ্যে পর্যাপ্ত বই প্রণয়নের দাবি জানান।
বক্তারা অবিলম্বে মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষাসহ পিসিপি’র শিক্ষা সংক্রান্ত ৫দফা দাবি পূর্ণ বাস্তবায়ন ও পাঠ্য পুস্তক হতে পাহাড়ি জাতিসত্তার অবমাননাকর সাম্প্রদায়িক বাক্য মুদ্রণ বাতিল করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। অন্যথায় ভবিষ্যতে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।

আরও পড়ুন