গাড়ি আর মানুষে ঠাসা রাঙামাটির রিজার্ভ বাজার। দিনমান ব্যস্ততায় যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। এমন ব্যস্ত এলাকায় ধীরপায়ে শান্তভাবে ঘোরাঘুরি করছে বাদামী ও আংশিক সাদা রঙের আস্ত এক ঘোড়া। মাত্র ১৫ মাস বয়সে রাঙামাটি শহরে নিয়ে আসা হয়। তাও বছর দুয়েক আগে। এরপর যত্ন, ভালবাসা, স্নেহে বড় হয়ে উঠল। মালিকের সাথে এদিক ওদিক ঘুরাঘুরিতে চিনে নিল শহরের রাস্তাঘাট। যান্ত্রিক এ শহরে এখন একা নিজেরই অবাধ বিচরণ ঘোড়াটির।
সাধারনতঃ ঘোড়ার দেখা মিলে পাহাড় কিংবা সমুদ্রের ধারে অথবা রাজধানীতে ঘোড়ার গাড়ি নয়তো চিড়িয়াখানায়। কিন্তু এসবের বাইরে রাঙামাটির রিজার্ভ বাজারে জলজ্যান্ত একটিমাত্র ঘোড়ার দেখা মেলে। গলায় দড়ি নেই, মালিকের পাহারা নেই। নির্ভয়ে রিজার্ভ বাজার এলাকার ব্যস্ত রাস্তা ধরে এপ্রান্ত হতে ওপ্রান্ত ঘুরে বেড়ায়। স্থানীয়দের কাছে এখন পোষা প্রাণীর মত। কারও কোন ক্ষতি করেনা। দেখতে সুন্দর বলে দর্শনার্থীদের কেউ কেউ পাশে গিয়ে ছবি তুলে স্মৃতিতে ধরে রাখার চেষ্টা করে। বাচ্চারা ঘোড়াটি দেখে আনন্দ পায়, পিছু নেয়।
স্থানীয় নার্সারী ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর আহমদ অনেকটা শখের বশে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কুমিল্লা থেকে কিনে নিয়ে আসেন। তারপর নিজ সন্তানের মত পরম যত্ন ও স্নেহে বড় করে তুলেন। খুব অল্প সময়ে বশে চলে আসে। এখন নিজে নিজে ঘুরে বেড়ায়, সন্ধ্যা হলে ফিরে আসে। প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা থেকে ঘোড়াটি কিনেছেন বলে জানান তিনি।
ডিসি বাংলো এলাকার বাসিন্দা মোঃ সোলায়মান জানান, শহরের ঘোড়াটি যখন ঘুরে বেড়ায় তখন বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষিত করে। সাধারনতঃ ঘোড়াটি নিরীহ গোচের, কারও ক্ষতি করেছে বলে শুনিনি। স্থানীয়দের জীবনযাপনের সাথে একেবারে মিশে গেছে।