রাঙামাটির রাজনৈতিক সম্প্রীতি যেন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে : রাঙামাটির জেলা প্রশাসক
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর রাঙামাটি জেলার মানুষ অত্যন্ত সৌহার্দ্যপুর্ণ এবং সহজ সরল। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্ক রয়েছে, এটি বিঘ্নিত হতে দেয়া যাবে না। পার্বত্য রাঙামাটিতে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে রাজনৈতিক সম্প্রীতি খুবই জরুরী। এটি করা গেলে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ।
তিনি বলেন, পর্যটনসহ এ জেলার বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে ভাবতে হবে। পর্যটন উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প হাতে নিতে হবে। এ অঞ্চলের পরিবেশ পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়বে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় টেকনাফ টু সাজেক আকর্ষনীয় টুরিজ্যম জোন করা গেলে এ অঞ্চলের চিত্র পাল্টে যাবে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে প্রত্যেক ক্ষেত্রে একটি আরেকটির সাথে জড়িত। এখানকার উন্নয়নে সরকারী সব বিভাগের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করতে হবে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে হেডম্যান কার্বারীরা প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর ক্ষেত্রে চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের পথ ছাত্ররাই তৈরি করে দিয়েছিল। জুলাই আগস্টে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষতিপুরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা, প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মংক্যছিং সাগরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ইউপি চেয়ারম্যান, হেডম্যান, কার্বারী, সরকারী দপ্তরের প্রতিনিধি বত্তব্য রাখেন।