সভায় সভাপতিত্বে করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা, নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ, পুলিশ প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চিত্ত রঞ্জন পাল, স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন (ভাঃ) ডাঃ স্নেহ কান্তি চাকমা, জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ, রাঙামাটির রাজ বনবিহার পরিচালনা কমিটির সদস্য উদয়ন চাকমা, টিটু চাকমা, রনেল চাকমা, রনেন্দ্র চাকমা রিন্টু’সহ সেনা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, বিদ্যুৎ বিতরণ, উন্নয়ন বোর্ড, পৌরসভা, গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিগত বছরের কার্যবিবরণী পর্যালোচনা এবং উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পর রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় রাজ বন বিহার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে গৃহীত প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে সভায় উপস্থাপন করা হয়।
বৌদ্ধধর্মালম্বীদের বৃহৎ এ উৎসব কঠিন চীবন দান সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এবং আগত পূর্ণার্থীদের সুবিধার্থে আইন শৃংখলা বাহিনীকে সড়ক ও নৌ পথের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রয়োজন অনুযায়ী টহল ব্যবস্থা গ্রহণ ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেক করা, যানজট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ট্রাফিক মোতায়েন, সমগ্র এলাকায় আইনশৃংখলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, স্বাস্থ্য বিভাগকে মেডিকেল টিম ও এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা, সুষ্ঠভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা, পানি সরবরাহের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, সেনিটারী লেট্রিনসমূহের দ্বারা বায়ু দুষণ এর বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের প্রধানকে বিহার পরিচালনা কমিটিকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য চেয়ারম্যান অনুরোধ জানান।
এদিকে বৃহৎ এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি সুস্থ ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য রাঙ্গামাটির রাজ বনবিহার পরিচালনা কমিটিকে জেলা পরিষদ থেকে ১ লক্ষ ৯০হাজার টাকার আর্থিক অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন চেয়ারম্যান।