রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের শালবন যৌথ খামার পাড়া পাহাড়ি গ্রামে ডিপ টিউবওয়েলের পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত সাপছড়ি ইউনিয়নের যৌথ খামার পাড়া । যৌথ খামার পাড়ার পাহাড়ের প্রায় ৬শ ফুট নিচে ৮ মাস আগে খাবার পানির সংকট নিরসনের জন্য নলকুপটির কাজ শুরু করে পার্বত্য জেলা পরিষদ।
স্থানীয়রা জানান, ঐ গ্রামের মানুষের খাবার পানির সংকট নিরসনের জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ চলছিলো। টিউবওয়েলের পাইপ কয়েকশ ফিট গভীরে যাওয়ার পর গ্যাস জাতীয় পদার্থ বের হতে থাকে, তাতে আগুন দেয়ার সাথে সাথে জ্বলে উঠে আগুন। স্থানীয় বাসিন্দা ও জায়গার মালিক তিথিচান চাকমা বলেন,
আমরা খাবার পানি পান করার জন্য পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে আমাদেরকে টিউবওয়েলটি দেয়া হয়। ডিপ টিউবওয়েলের পাইপ বোরিং করার সময় কয়েকশ ফিট নিচে যাওয়ার পর প্রথমে নিচ থেকে পানি বের হতে থাকে। পানির চাপ বাড়ার সাথে সাথে ঐ পাইপ দিয়ে গ্যাস জাতীয় বাতাস বের হতে থাকে। এ সময় পাইপ জোড়া দেওয়ার জন্য আগুন ধরালে তাতে আগুন ধরে যায়। তিনি আরও জানান,স্থাপিত টিউবওয়েল দিয়ে লবনাক্ত পানি বের হচ্ছে, যা পান করার অযোগ্য।
এদিকে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। দোকানদার রূপায়ন চাকমা জানান, আমি টিউওয়েল দিয়ে বের হওয়া গ্যাস দিয়ে আমার দোকানের রান্নার কাজ করছি, ভাল লাগছে রান্নার জন্য আর কাঠের প্রয়োজন হচ্ছে না।
টিউবওয়েল স্থাপনের কারিগর উজ্জল আসাম জানান, ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য ৮ মাস ধরে কাজ চলছে, তিনি আরো জানান, ৪৬০ ফিট গভীরে পাইপ বোরিং করে ফিল্টার ড্রপ দেওয়ার জন্য কয়েকটি নিপিল দিয়ে জোড়া লাগানোর সময় দিয়াশলাই আগুন দিলে এ পাইপ দিয়ে অনবরত আগুন জ্বলতে থাকে।পানির মোটর ছাড়লে পানির সাথে আগুন আসতে থাকে। তারা বলেন,নলকুপটির গভীরে ৬ ইঞ্চি পর পর পাথরও পাওয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে ৩নং সাপছড়ি ইউনিয়নের সদস্য রিটন বড়ুয়া জানান, উক্ত এলাকা থেকে উঠা এ পদার্থকে সবাই গ্যাস বলছে। আমি যেহেতু নিশ্চিত হতে পারছি না এটা গ্যাস ক্ষেত্র নাকি অন্য কিছু। তবে বর্তমানে এ এলাকায় বসবাসকারী ৫০ পরিবার আতঙ্কে বসবাস করছে। তিনি জানান,স্থানীয় প্রশাসনের উচিত ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা করে বিষয়টির ব্যাপারে সমাধান দেওয়ার জন্য।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন বলেন, গ্যাসের স্পীট দেখে মনে হচ্ছে এটা পকেট গ্যাস, তারপরও আমি বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি, যথা সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।