রাঙামাটি সদরে ২২ বছর পর আওয়ামী লীগের জয় !

ইউপি নির্বাচন

NewsDetails_01

সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রয়াত চিত্তরঞ্জন চাকমা তৎকালীন জীবতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর বিগত ২২ বছরে রাঙামাটি সদরের কোন ইউনিয়নে দলটির কোনো প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে জয় পাননি। তবে প্রায় দুই যুগের মাথায় ক্ষমতাসীন দলটির মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অমর কুমার চাকমা বালুখালী ইউনিয়নে সেই জয় পেলেন।

গত ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে জেলার দুই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বাকী ৯টিতে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। গত ২২ বছরে রাঙামাটি সদরে আঞ্চলিক সংগঠনের প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়ে আসা একটি মাত্র ইউনিয়নে এবারের জয়টাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এজন্য তারা অমর কুমার চাকমার ধৈর্য্য, সাহস ও জনপ্রিয়তাকে ধনবাদ জানান। সদরের বালুখালী ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী অমর কুমার চাকমা পান ২ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র প্রার্থী রনেন বিকাশ চাকমা পান ১ হাজার ৬৯২ ভোট।

NewsDetails_03

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাঙামাটি সদরের ৬টি ইউনিয়ন পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর আধিক্য বেশি থাকায়, ওই এলাকাসমূহ আঞ্চলিক সংগঠনের রাজনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যার কারনে ১৯৮৩ সালের পর থেকে একাধারে আঞ্চলিক সংগঠন যাকে সমর্থন দিয়েছে, তারা ইউপি পরিষদের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছড়াছড়ি থাকার কারণে দীর্ঘ ২২ বছর পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত অমর কুমার চাকমা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে ইউপি নির্বাচনে চিত্তরঞ্জন চাকমা দলের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, অতীতে রাঙামাটি সদরের ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দিলেও আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর হুমকি-ধমকী, অপহরণ, হত্যা-খুনের মুখে সাফল্যের মুখ দেখেনি। প্রার্থী থেকে শুরু করে ভোটাররা ভীত সন্ত্রস্ত থাকতে হতো। কখনও কখনও প্রার্থীও দেয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার অমর কুমার চাকমার জয়ে ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী তারা।

এদিকে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান অমর কুমার চাকমা তার এই জয়ে দলের নেতাকর্মী, সাধারণ ভোটার ও শুভাকাঙ্খীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন