রাঙামাটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে ২৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন ওসিসহ অধিকাংশই পুলিশ।
এদিকে, জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা রাঙামাটি সদর ও লংগদু উপজেলার বাসিন্দা। বুধবার সকালে রাঙাামাটি জেলা সিভিল সার্জন অফিসের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডাঃ মোস্তফা কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডাঃ মোস্তফা কামাল বলেন, বুধবার সকালে আসা ৫৬ টি রিপোর্টের মধ্যে করোনা পজেটিভ আসে ৩১টি। তার মধ্যে রাঙাামাটি সদরে ১৯জন, কাপ্তাই উপজেলায় ৯ জন, কাউখালী উপজেলায় ২ জন ও বিলাইছড়ি উপজেলার ১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে কাপ্তাই থানার ওসিসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। রিপোর্ট সমুহ চট্টগ্রামের সিভাসু ও বিআইটিআইডি ল্যাব থেকে এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া, জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী সুরত আলী (৩৫) রাঙামাটি সদরের বাসিন্দা শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি আইসোলেশনে ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম রেফার করা হলেও তিনি বাড়িতে চলে যান এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। মৃত সুরত আলীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডাঃ মোস্তফা কামাল।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাত ৮টায় লংগদু উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে অনিল চন্দ্র দাশ নামে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন অনিল চন্দ্র দাশ। পরিবারের অভিযোগ, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে জানানোর পরও স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ নমুনা নিতে আসেনি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ অরবিন্দু চাকমা জানান, কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা ওই বৃদ্ধের করোনার কোন উপসর্গ ছিল না।
এদিকে, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৪৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এ পর্যন্ত জেলায় নমুন সংগ্রহ করা হয়েছে ২০৭৬টি। রিপোর্ট আসে ১৮৩৪টি।