রাজগুরু বিহার পর্যবেক্ষণে গেল পাহাড়ের তিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দল

বান্দরবান পার্বত্য জেলার রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণে গেলেন পাহাড়ের তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দল ।

আজ রোবাবার (২৪ মে) দুপুরে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরষদ এবং বোর্মা সার্কেল চীফ রাজা উ উচপ্রু এর প্রতিনিধি দল এই বিহার পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণে যান ।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, জ্ঞান প্রিয় ভিক্ষুকে আগামী ২৮ মে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ হিসেবে অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে । ১৩ তম বোমাংগ্রী উ ক্যজসাই এর নাতি জ্ঞান প্রিয় ভিক্ষু। ৬৭ বছর বয়সে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।

আগামী ২৭ মে চট্টগ্রামের নন্দন কানন বৌদ্ধ বিহার থেকে ১৭তম রাজা উ চ প্রু চৌধুরীর নেতৃত্বে রাজগুরু বিহারে নিয়ে আসা হবে । এছাড়াও ওনার শয়ন কক্ষসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাদি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওই জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাজগুরু বিহারে।

NewsDetails_03

ওই বৈঠকে রাজার প্রতিনিধি হিসাবে প্রয়াত ১৪তম রাজর মংশৈপ্রু চৌধুরীর ছেলে রাজকুমার মংঙৈপ্রু ও প্রয়াত ১৬ তম রাজার ছেলে রাজকুমার মংসিংপ্রু, রাজ পরিবারের সদস্য হেডম্যান সাশৈ প্রু, হেডম্যান মংনুপ্রু, হেডম্যান টিমং প্রু, শৈটিং প্রু, আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধি কে এস মং, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, হেডম্যান মংথোয়াই চিং, সাবেক জেঃপরিষদ চেয়ারম্যান মংক্যচিং চৌঃ সাংবাদিক বাটিং মারমাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বিহার নিয়ে বিভিন্ন জটিলতার পর গত ১৬ই মে বান্দরবান বোমাং সার্কেলের ১৭তম রাজা বোমাংগ্রী উচপ্রু চৌধুরীর হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজগুরু বিহারের চাবি ও মূল্যবান সম্পদের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেছে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা।

প্রথাগত আইনে বোমাং রাজা রাজবিহারে বিহারাধ্যক্ষ নিযুক্ত করার নিয়ম রয়েছে। বিহারাধ্যক্ষ নিয়োগের ঘোষনাপত্রে রাজ পরিবারের সিনিয়র ৯জন সদস্যের সন্মতিপত্রের নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। সে প্রথাগত আইন খঙ্গ করে ১৯৯৯ সালের ১৩ই জানুয়ারী নিজস্ব শিষ্য-ভক্তদের নিয়ে জেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান থোয়াই চ প্রু মাস্টার এর সহযোগিতায় রাজগুরু বিহার থেকে বিহারাধ্যক্ষ উঃ আগাদামা ভান্তেকে অপসারণ করে জোর জবরদস্তি করে উচহ্লা ভান্তে নিজেই রাজগুরু বিহারের বিহারাধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহন করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে উ পঞ্ঞা জোত মহাথেরোকে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন তাঁর মৃত্যু হলেও তার শিষ্যরা দাবি করেন, তিনি ১৩ এপ্রিল সকালে মারা যান। এরপর অনেকটা গোপনে তার মরদেহ বান্দরবান না এনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার খৈয়াখালি বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতি উপেক্ষা করে উচহ্লা ভান্তের মিয়ানমারে বসবাস করা এক শিষ্যকে বান্দরবানে নিয়ে এসে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগের চক্রান্ত করা হয়।

আরও পড়ুন