রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায় জঙ্গী বিরোধী অভিযানে মেজর মুরাদ নামে এক জঙ্গী নিহত হয়েছে। পুলিশ ও ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় জঙ্গী প্রশিক্ষক মুরাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান শুরু করে।
অভিযানের এক পর্যায়ে পুলিশ ৩৩ নাম্বার রোডের ৩৬ নাম্বার বাসাটিতে ঢুকে পড়লে জঙ্গী মুরাদ পিস্তল ও ছুরি দিয়ে পুলিশের উপর পাল্টা হামলা চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় রূপনগর থানার ওসি-তদন্ত শাহীন ফকির, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ আলম, এসআই মমিনুর রহমান এবং এএসআই বোখারী গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। ঘটনার পর দুই ওসিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা।
জঙ্গী মুরাদের বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, “সে জেএমবির সামরিক প্রশিক্ষক। সংগঠনের মধ্যে মেজর মুরাদ নামে পরিচিত ছিল। এছাড়াও কখনও জাহাঙ্গীর, কখনও ওমর নামে নিজের পরিচয় দিতো জঙ্গী মুরাদ। ।
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন।
এরপর সপ্তাহ না পেরোতেই ঈদের সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাঁহের একটি প্রবেশ পথে পুলিশি তল্লাশি চৌকিতে জঙ্গিরা হামলা চালালে নিহত হন দুই কনস্টেবল।
এই দুই হামলার পর জঙ্গি ধরতে দেশজুড়ে তল্লাশির মধ্যে ২৫ জুলাই রাতে কল্যাণপুরে একটি মেসে পুলিশের অভিযানে নয় জঙ্গি নিহত হয়। সেখান থেকে আহত একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরীর নাম আসে।