বান্দরবানের বোমাং রাজার ১৪০তম ঐতিহ্যবাহী রাজপূণ্যাহ উৎসব কাল বৃহস্পতিবার থেকে স্থানীয় রাজারমাঠে শুরু হবে। উক্ত মেলায় যোগ দিতে বান্দরবানে আসছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরী পাহাড়বার্তাকে জানান, মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। এছাড়া মেলায় যোগ দিতে আরো আসছেন, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া আরো উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিসহ দেশি বিদেশি অতিথিরা।
২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ২৩ ডিসেম্বর শনিবার পর্যন্ত রাজপূণ্যাহ উপলক্ষে স্থানীয় রাজার মাঠে বসবে মেলা, যাত্রাপালা,পুতুল নাচ,সাংস্কৃতিক অনুষ্টানসহ থাকবে নানান আয়োজন। জেলার ১০৯টি মৌজার অধিবাসীরা রাজাকে প্রদান করবেন বাৎসরিক খাজনা। ১৮৭৬ সাল থেকে বান্দরবানে এই রাজপূণ্যাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, প্রতিবছর এই মেলাকে ঘিরে বান্দরবানে আদিবাসী,বাঙ্গালীর পাশাপাশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়।
বৃটিশ শাসন আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলাকে তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করে খাজনা আদায় করা হতো। ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত চাকমা রাজা পার্বত্য এলাকা শাসন করতো। ১৮৬৭ সালে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অঞ্চলের মারমা অধ্যুষিত এলাকাকে বোমাং সার্কেল, ১৮৭০ সালে রামগড় ও মাইনি উপত্যকার এলাকাকে নিয়ে মং সার্কেল গঠিত হয়। বর্তমানে রাঙ্গামাটিকে চাকমা সার্কেল, বান্দরবানকে বোমাং সার্কেল এবং খাগড়াছড়িকে মং সার্কেল হিসাবে গণ্য করা হয়। প্রায় ১৭৬৪ বর্গমাইল এলাকার বান্দরবানের ৯৫টি, রাঙামাটির রাজস্থলি ও কাপ্তাই উপজেলার ১৪টি মৌজা নিয়ে বান্দরবান বোমাং সার্কেল।