রাজস্থলীতে তিনটি পূজা অনুষ্ঠিত হবে

NewsDetails_01

সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপূজা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয়া দূর্গা পূজা। আর মাত্র কয়েক দিন বাঁকি শারর্দীয়া দূর্গা পূজার। পূজাকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার পূজা মান্ডপ গুলোতে প্রতিমা সাজানোর কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। উপজেলায় তিনটি পূজা মান্ডপে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
পূজার উৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতে মন্দিরগুলোতে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জার প্রস্তুতি। ইতি মধ্যে বেশির ভাগ পূজা মান্ডপ গুলোতে প্রতিমার কাঠামো মাটির কাজ শেষ করে শুরু হয়েছে রং তুলি ও সাজসজ্জার কাজও। ৫দিন ব্যাপি হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয়া দূর্গা পূজা। চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পীরা এখানকার পূজা মান্ডপ গুলোর প্রতিমা নির্মানের কাজ করছে।
বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালি মন্দিরের পূজা মান্ডপে প্রতিমা কারিগর মৃদুল আচ্যার্য বলেন, এবার বাঙ্গালহালিয়া মন্দিরের প্রতিমা গুলো নির্মানের জন্য ৮০ হাজার টাকায় কন্ট্রাক নিয়েছি প্রতিমা সাজানোর কাজ দুই এক দিনের মধ্যে শেষ হবে। মাটির কাজ শেষ করে রং তুলির আচড়। প্রতিমা গুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি।
আরো জানা গেছে, এবার উপজেলার রাজস্থলী বাজার শ্রী শ্রী হরি মন্দির,বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী দক্ষিণশ্বর কালী মন্দির ও ছাগল খাইয়া শ্রী শ্রী কৃষ্ণ মন্দির প্রতিমা সাজানোর কাজ শেষের পথে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বাবুল বরন শর্ম্মা বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও রাজস্থলীতে তিনটি মান্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা শারর্দীয় দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আনন্দক্ষন ও জাঁক জমক পূর্ন ভাবে পূজা শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাজস্থলী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এস,এম,মাহাবুবুর আলম বলেন, তিনটি পূজা মান্ডপে মধ্যে একটি রাজস্থলী থানার অধীনে বাকি দুইটি চন্দ্রঘোনা থানার মধ্যে। তবে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা সর্বদা সচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বহী অফিসার মোঃ মুশফিকুর রহমান বলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয়া দূর্গা পূজা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্দির গুলোতে নিরাপত্তাসহ শান্তি পূর্ন ভাবে উৎসব সম্পর্ন করার লক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ভি,ডি,পি,গ্রাম পুলিশ মোতায়নের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন