রাজার সনদ বাতিলের দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাও করা হবে : কাজী মজিব

NewsDetails_01

তিন পার্বত্য জেলায় সংবিধান বহির্ভূত রাজার সনদ প্রথা বাতিলের দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান।

আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকাল ৪টায় বান্দরবান সদরের প্রেসক্লাব চত্বরে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ মুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, সরকারী চাকুরি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’সহ সকল ক্ষেত্রে পাহাড়ের বাঙালীদের সঙ্গে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যার অনুপাতিক পদ বন্টনের দাবি এবং পার্বত্যাঞ্চল নিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আয়োজিত ছাত্র-জনতার মহা সমাবেশে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে বাস করার সুবাদে সবাই বাংলাদেশী। দেশ স্বাধীনের পর থেকে বিভিন্ন কারনে ১৬ বার পবিত্র সংবিধান পরিবর্তন হলেও ১৯০০ সালের ব্রিটিশ শাসনবিধি নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করা ৫৪ শতাংশ বাঙ্গালীদের ১৯০০ শাসনবিধি নামক আয়না ঘরে ভাগ্য বন্দি করে রাখা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে সর্বউচ্চ সরকারি কর্মচারি হিসেবে ডিসি নিয়োগকৃত থাকলেও মূলত দূর্নীতিবাজ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের কতৃত্ব বেশি। ফলে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙ্গালিদের জন কল্যাণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সহ সকল ক্ষেত্রে পাহাড়ের বাঙ্গালিদের সাথে বৈষম্য দূর করতে রাজার সনদ প্রথা অতি বিলম্বে বাতিলের দাবি জানান।অন্যতায় জনগনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ডিসি অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচির দেয়ার হুশিয়ারি প্রদান করেন।

NewsDetails_03

এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমানের নেতৃত্বে প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি জনগন তুমি কে আমি কে, বাংলাদেশী বাংলাদেশী স্লোগান ও বিভিন্ন প্লে-কার্ড নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের (পিসিএনপি) মহাসচিব আলমগীর কবির, মাওলানা আবুল কালাম, হাফেজ জাহেদ, আসিফ ইকবাল, রহিমা বেগম, খুরসিদা বেগম, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সাংবাদিক সম্রাট, নাছিরুল আলম, রুহুল আমিনসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের মাগফিরাত কামনা ও বন্যার্তদের জান মাল রক্ষায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আরও পড়ুন