রাজেরুং ত্রিপুরাকে ধর্ষনের পর হত্যা প্রতিবাদে থানচিতে বিক্ষোভ

ঈদের ছড়িতে বাবা মায়ের কাছে আসার কথা থাকলেও ফিরে আসলেন লাশ হয়ে। যশোর জেলার কেশবপুর পৌর শহরের সাহাপাড়ার খ্রিস্টান আউট রিসোর্ট সেন্টার ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ মিশনের রাজেরুং ত্রিপুরা (১৫) ৯ম শ্রেণী শিক্ষার্থী। পরিবারে পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন রাজেরুং ত্রিপুরা। পরিবারে অসচ্ছলতার কারণে তাকে মিশনে পড়িয়েছে বাবা মা। গত শুক্রবার তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মিশনের প্রধান খ্রিষ্টিফা সরকার। এর প্রতিবাদে বান্দরবানে থানচিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন “ত্রিপুরা সচেতন” সমাজ।

আজ রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টায় উপজেলা তিন রাস্তার মোড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পাহাড়ি প্রতিনিধি শিক্ষার্থী ও সচেতন সমাজ ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে তিন রাস্তার মোড়ের সামনে অবস্থান নেন। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন আয়োজন করেন।

NewsDetails_03

ত্রিপুরা, মারমা, ম্রো ও খুমী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বক্তারা বলেন,আমাদের আদিবাসী নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশের অব্যাহত নীপিড়ন ও ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে আজকের আমরা সকলের সমবেত হয়েছি। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই যারা রাজেরুংকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।

কেশবপুরে মিশনটি কোন খ্রিষ্টিয়ান মিশন নয়,বরং কিছু ডোনারদের অর্থ দিয়ে পরিচালিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে গরীব ও অসহায় মেয়েদের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যায়। ২০০৯ সালেরও প্রতিষ্ঠানটিতে এমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারে প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

সমাবেশে ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি ও ৩৭০ নং মদুকছড়া মৌজা হেডম্যান সিমন ত্রিপুরা সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, অন্দ্রিজয় ত্রিপুরা, এনি ত্রিপুরা,ক্যহাইসিং মারমা,শিক্ষক লিটন ত্রিপুরা ও মুক্ত ত্রিপুরাসহ অনেকে।

আরও পড়ুন