রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় স্থলবন্দরের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরী। শুক্রবার (১২ই জুলাই )সকাল ১১ টায় তিনি রামগড় স্থলবন্দরের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে আসেন।
এ সময় বাংলাদেশ স্থল বন্দরের প্রকল্প পরিচালক সরওয়ার আলম,রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন, রামগড় ৪৩ বিজিবির উপপরিচালক রাজু আহমেদ, রামগড় উপজেলার সহকারী কমিশনার( ভূমি) ইসমত জাহান তুহিন, রামগড় স্থলবন্দরের ইনচার্জ আমানুল্লাহ, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবপ্রিয় দাশ, স্থল বন্দর উন্নয়নের কর্মকাণ্ড ও ফেনী নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশ –ভারত মৈত্রী সেতু ঘুরে দেখেন এবং এ সময় তিনি কাজের খোঁজ খবর নেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, বন্দরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের কাজের গতি সন্তোষ জনক। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বন্দরের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও বন্দরটি এখনই প্যাসেঞ্জার পারাপার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন আগামী আগস্ট এর মধ্যেই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বন্দর চালু হলে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে তা বন্দর চালু হওয়ার পর কি কি পণ্য আনা নেওয়া হবে সেটি দুই দেশের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।
প্রকল্প পরিচালক সরওয়ার আলম বলেন, দ্রুতগতিতে বন্দরের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আরো কিছু জমি অধিগ্রহণে কাজ চলছে। ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের জন্য রামগড় স্থলবন্দর প্রস্তুত। তবে ভারতের প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় কিছুটা দেরি হচ্ছে। আগামী আগস্টে ইমিগ্রেশন চালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানান। ভারতের অর্থায়নে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের তদারকিতে রামগড় -বারইয়ারহাট ফোর লেন সড়কটি কাজ অনেক দূর এগিয়েছে আগামী ২০২৫ সালের জুন মাসে প্রকল্পটি শেষ হবে বলে জানা গেছে। তখন চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে রামগড় স্থলবন্দের মাধ্যমে ভারতের সাতটি রাজ্যে মালামাল পরিবহন শুরু হলে দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
এতে উভয় দেশেই লাভবান হবে।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, স্থলবন্দর চালু হলে বাংলাদেশ ভারত দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ, ব্যবসা বানিজ্য সহজতর হবে। এলাকার মানুষের জীবন জীবিকার মান পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন হবে, বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তিনি বন্দরের কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির সহায়তা কামনা করেন।