খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় স্বামী ও শ্বাশুড়ির সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার দেড় মাস পরও আটক হননি অভিযুক্ত। পুলিশের চোখে পলাতক এই অভিযুক্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে নিজ এলাকায় এবং মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে ধর্ষিতার পরিবারকে।
মামলার এজহারে জানা যায়, স্বামী ও শ্বাশুড়ির সহযোগীতায় রামগড় উপজেলার ২নং পাতাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেন ওই গৃহবধুকে।
ভিকটিমের পিতা ও মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, রহস্যজনক কারণে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছেনা। আসামীরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। থানায় মামলা করতে গেলেও তখন পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর থেকে তিনি তার মেয়ের সাথে শ্বশুরবাড়ি পাতাছড়া এলাকায় অবস্থান করছিলেন। ধর্ষক মহিউদ্দীন এলাকায় খুব প্রভাবশালী এবং তার শ্বশুরবাড়ির ক্ষতি করবে এমন হুমকি দেওয়ায় তিনি এলাকা ছেড়েছেন। ঘটনার পর অভিযোগ করা হলে পুলিশ তাকে কোন সহযোগিতা করেনি।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ৫ মাস আগে নাকাপা এলাকার ফয়েজের সাথে পারিবারিকভাবে ভিকটিমের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন মেম্বার জোরপূর্বক ভিকটিমকে ধর্ষণ করে আসছে। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার লোভে ভিকটিমের স্বামী ফয়েজ এবং শ্বাশুড়ি নুরজাহান প্রতিনিয়ত স্থানীয় মেম্বার মহিউদ্দীনকে ধর্ষণে সহায়তা করে আসছে। সুযোগ পেয়ে ভিকটিম পাশের এলাকায় তার নানা বাড়িতে এসে তার পিতাকে ঘটনা জানালে তার পিতা বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অজয় চক্রবর্তী জানান, মহিউদ্দীন এলাকায় আসার কোন খবর তার কাছে নেই। এলাকায় পুলিশের সোর্সদের নির্দেশ দিয়েছেন মহিউদ্দীনকে এলাকায় দেখলে জানাতে। তাছাড়া মহিউদ্দীন এবং অন্য আসামীদের ধরতে কয়েকদফা অভিযান চালিয়েছেন বলেও জানান তিনি।