রুমায় রথ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ওয়াগ্যেয়াই পোয়ে

বান্দরবানে রুমায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে সাঙ্গু নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে-ওয়াগ্যেয়াই পোয়ে এর রথযাত্রা।

আজ বুধবার বিকালে রুমা কেন্দ্রীয় উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজিত ওয়াগ্যেয়াই পোয়ে উপলক্ষে গৃহীত চার দিনের কর্মসূচির সমাপনী দিনে মারমা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন প্রাঙ্গনে বিকাল তিনটায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন, রুমা অগ্রবংশ অনাথ আশ্রমের পরিচালক উঃ নাইন্দিয়া ভিক্ষু।

উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি উক্যসিং মাস্টার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুমা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী, রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংসিনু, পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং মার্মা, দীপায়ন খীসা, উছোমং মারমা ও সভা পরিচালনা করেন উসাইমং মারমা।

NewsDetails_03

বিকাল পাঁচটায় রং-বেরঙের নির্মাণ শৈলীর ময়ূর সাদৃশ্যে নির্মিত রথের উপর বুদ্ধের মূর্তি বসিয়ে রথযাত্রার শুরু হয়। রথে বাঁধানো দুইটি দড়ির হাতে ধরে টানতে থাকে সারিবদ্ধভাবে দুই লাইনে দাঁড়িয়ে যুব যুবতীরা।

পথে পথে হাজারো নর-নারী মোমবাতি জ্বালিয়ে মঙ্গলের আশীর্বাদ প্রার্থনা করে। আনন্দমুখর মুখরিত সামান তালে চলে-আনন্দের গান। একদল পিছনে ঢাক ঢোল বাজনা বাঁচিয়ে যুব যুবতিরা নেচে গিয়ে নেচে রথযাত্রা করতে থাকে। আনন্দঘন পরিবেশে মুখরিত ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে রুমা সদরে রুমা বাজার সহ আশ-পাশের এলাকার সড়কে। রথ যাত্রায় মারমার সম্প্রদায়ের লোকজন পাশাপাশি পাহাড়ি বাঙালি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন এতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেছে ফলে প্রতিবছরের নিয়ে এই ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা অনুষ্ঠানটি সব সম্প্রদায়ের লোকের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে রুমা বাজার সংলগ্নে সাঙ্গূ নদীর ঘাটে নামানো হয়-রথযাত্রার।

নদীর ঘাটে সাঙ্গু নদীতে ভাসিয়ে হাজার হাজার প্রদীপ প্রজনন ও রথটি নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় রথযাত্রানুষ্ঠান। পরে রাত ব্যাপি হবে-মার মাদার ঐতিহ্যবাহী পাংখুং নৃত্য মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন