বান্দরবানের রুমা উপজেলার বটতলীপাড়া-গালেঙ্গ্যা যাওয়া রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠার বিষয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পাহাড়বার্তা’য় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি ঠিকাদার ও এলজিইডির নজরে আসলে ইটের খোয়া বদলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলে নির্মান শ্রমিকরা সড়কের ইটের খোয়া বদলিয়ে দেন। গত কয়েকদিন আগে ইটের খোয়া বদলিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজইডি) বাস্তবায়নে প্রায় ১২কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজে ইটের খোয়া দেড় ইঞ্চির কথা বলা হলেও এতে ব্যবহার হয়-তিন থেকে চার ইঞ্চি বড় ইটের টুকরা। এসব বড় আকারের ইটের খোয়া মিলিয়ে রাস্তার কাজ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত মেকাদম হলেও সংবাদের পর এসব ইটের খোয়ার টুকরো ছোট করে দেওয়া হয়। ফলে কার্পেটিংয়ের সময় ইটের খোয়া-বিটুমিন মেশানো হলে এতে কার্পেটিং ওঠে যাবার আর আশঙ্কা না থাকায় রাস্তার কাজ টেকসই হবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১১ কোটি ৮৬লক্ষ টাকার ব্যয়ে গত বছরের আগস্ট মাসে রুমার-বটতলীপাড়া রাস্তা থেকে গালেঙ্গ্যা অফিস পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং করণের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার রতন কান্তি দাশ।
আরো জানা গেছে, ময়ুর পাড়ার পাশে কোলাদাইং ঝিরি আগা থেকে রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে বটতলী পাড়ার পার্শ্ববতী খক্ষ্যংঝিরি কাছাকাছি পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার মেকাদমের কাজ চলছে।
এই ব্যাপারে নির্মান শ্রমিক আনোয়ার বলেন, আগে বড় খোয়া রাস্তায় দিলেও এখন এসব খোয়া পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে, যারা ফলে সড়ক যথাযথ ভাবে নির্মান হচ্ছে এখন।
এই বিষয়ে ঠিকাদার রতন কান্তি দাশ বলেন, আমার অজান্তে ঘটনা ঘটলেও এখন ইটের খোয়াগুলো ভাঙ্গিয়ে ছোট করে দেওয়া হয়েছে, এখন কোন আর সমস্যা নেই।
প্রসঙ্গত, সড়কটি নির্মান শেষ হলে জেলার রুমা উপজেলার বটতলীপাড়া-গালেঙ্গ্যা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অমূল পরিবর্তন হবে। ফলে সেখানের কৃষিজ পণ্য সহজে বাজারজাত করতে পারবে স্থানীয়রা, যার কারনে অধিক লাভবান হবে কৃষকরা।