অগ্রবংশ অনাথালয়ের পরিচালক উ: নাইন্দিয়া থের জানান, গত ৩০মে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে অগ্রবংশ অনাথালয়ের ছাত্রীদের থাকা ঘর চালের ঢেউটিন উপড়ে যায়। এতে বৃষ্টি হলে চালের ফাক দিয়ে পানি চুষে পড়ছে। এতে ছাত্রীনিবাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সব কাপড়- চোপড় ভিজে। তাছাড়া ছাত্রাবাসের রান্নাঘরটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে বাতাসে উড়িয়ে গেছে। এসময় রান্না ঘরের সবকিছু বাতাসে উড়ে নিয়ে গেছে, এখন ছাত্রাবাসের দুর্ভোগের শেষ নেই।
তিনি আরো জানান, ছাত্রাবাসের এসব সমস্যাবলী নিরসনের লক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সদয় হয়ে অগ্রবংশ অনাথালয়’কে প্রাথমিকভাবে উন্নতমানের ৫ বান ঢেউটিন বিতরণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শরিফুল হক এসময় ছাত্রাবাসের অনুষাঙ্গিক দ্রব্য-সামগ্রি ক্রয়ের জন্য আরো নগদ ১৫হাজার টাকা দু’তিন দিনের মধ্যে দেবেন এবং ভবিষ্যতেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে অনাথালয়ের পরিচালক উ: নাইন্দিয়া থের জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, রুমা উপজেলার অনাথ আশ্রম অগ্রবংশ অনাথালয়ে বর্তমানে প্রায় ১২০জন শিক্ষার্থী এ অনাথালয়ে থেকে পড়ালেখা করছে।