সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১০সালে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার পর দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ২০১৩-২০১৪ অর্থসালে বান্দবানের রুমার দুর্গম এলাকার ৬টি বিদ্যালয় নির্মাণ কাজ শুরু হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাস্তবায়নে তিন কোটি ২৭লক্ষ ১৯হাজার টাকার ব্যয়ে দুর্গম রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের মেনরন-ফাইনং পাড়া, ম্রখ্যং পাড়া, গালেঙ্গ্যা ইউনয়নের ভরত পাড়া এবং পাইন্দু ইউনিয়নের পলিতং- বেথেলহেম পাড়া, সদর ইউনিয়নে ঘোনা পাড়া ও প্রংফুমক পাড়া মোট ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামোগত নতুন ভবন নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রবিউল হোসেন জানান, নতুনভাবে নির্মিত ভবনসমূহ শিক্ষা বিভাগের নিকট যথাসময়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে দুর্গম হওয়ায় ম্রক্ষ্যং পাড়ায় পাহাড়ি এলাকার নক্সায় বিদ্যালয়টি নির্মিত হয়।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন জানান এলজিইডি’র বাস্তবায়নে ৬টি বিদ্যালয়ের মধ্যে “ঘোনা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ” গতবছর ১৯এপ্রিল থেকে চালু করা হয়েছে। এ বিদ্যালয়ে ৬জন শিক্ষক সংযুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে বর্তমানে পাঠদান চলছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উক্যসিং মারমা বলেন, গত বছরে চালু হওয়া এ বিদ্যালয়ে শিশু, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এপর্যন্ত দুইশজনের বেশি শিক্ষার্থি পড়ালেখা করছে।
এই ব্যাপারে রুমার উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা বলেন, বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ১৫০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন” শীর্ষক প্রকল্পে বাকি ৫টি চালু করতে তার অধস্তন বিভাগ হওয়ায় বান্দরবান জেলা পরিষদকে পাঠদান চালুর বিষয়ে অনুরোধ পত্র দেয়া হয়েছে। তবে নাগাদ চালু করা যাবে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি তিনি। তবে সব কটি চালু হলে রুমা উপজেলায় মোট সংখ্যায় ৪৩টিতে উন্নীত হবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যা আগে ছিল ৩৭টি সরকারি প্রা: বিদ্যালয়।