রুমায় পিকনিক নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে মারামারি

purabi burmese market

পিকনিকের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শনিবার (১৬মে) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বান্দরবানের রুমা সদরে পাইলট পাড়ার মোতালেব বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত শ্রমিকের নাম সবুজ মিয়া(২২)।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, ঈদ উপলক্ষে পাইলট পাড়ার যুব শ্রমিকের উদ্যোগে সাংগু নদীর বালুচড়ে পিকনিকের আয়োজন করে। বালুচড় থেকে বাড়িতে সাউন্ড বক্স নিতে যায়। ওইসময় পাশের বাড়িতে থাকা মোহাম্মদ শফিউল আলম (২৩) সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়।

আহত ব্যক্তি সবুজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমরা দুইজন মারামারি- ধাক্কাধাক্কি করার সময় এক পর্যায়ে পূ্র্ব শত্রুতা জের ধরে তৃতীয়পক্ষ মোহাম্মদ আক্তার (৪৮) পিছন থেকে এসে আমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে আমি জ্ঞান হারায়। পরে স্থানীয়রা রাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছে সবুজ মিয়া।

কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ মেজবাহ বলেন জরুরি বিভাগে মাথার আঘাত প্রাথমিক চিকিৎসা দেযা হয়েছে। তবে এক্সরে করলে ভাল। তাই রেফার দিয়ে রাখছে রোগি সবুজ মিয়াকে।

dhaka tribune ad2

তবে রাজমিস্ত্রি আক্তার হোসেন বলেন গভীর রাতে চিল্লাচিল্লিতে তার ঘুম ভাঙ্গে। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্যদের মতো সমিউল ও সবুজ উভয়কে মারামারি থামাতে চেষ্টা করেন। এতোক্ষণে পাড়ার লোকজন জড়ো হয়ে তাদের থামাতে চেষ্টা করছিল। সবুজ মিয়া কিছু খেয়েছিল, তাই নালায় পড়ে গিয়ে তার মাথায় আঘাত পেয়েছে।

রাজমিস্ত্রীর কাজে দন্ড থাকায় তাকে(আক্তার হোসেন) সবাই মিলে দোষ চাপানো হচ্ছে।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক জামাল হোসেন ও ওমর ফারখ জানায় পাইলট পাড়ার রাজমিস্ত্রি মতিউর রহমান চিল্লাতে চিল্লাতে মার, মেরে ফেলো বলে আক্তার হোসেনকে উস্কে দিয়েছিল। এতে আক্তার হোসেন উত্তেজিত হয়ে লাঠি নিয়ে সবুজ মিয়ার মাথায় করে বলে ওমর ফারুখ জানিয়েছে।

তবে রাজমিস্ত্রি মতিউর রহমান বলেন আমি মারামরির পর ঘর থেকে বের হয়েছি। তখন একজনের মাথায় রক্ত দেখে তাদের বলেছি, তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাও। এমনিতে আমি অসুস্থ। যারা আমার শত্রু তারাই একথা বলেছে বলে জানালেন মতিউর।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।