রেড জোন হিসাবে সাধারণ ছুটি ঘোষিত ১০ জেলায় নেই বান্দরবান

করোনা ভাইরাসে নাকাল গোটা বিশ্ব। সারা বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জ্যামিতিক হারে দেশব্যাপী বাড়ছে করোনা আক্রান্তের হার। বান্দরবানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রায় তিন মাসেও কমছে না সংক্রমন। বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের অতি ঝুঁকিতে থাকায় রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত দেশের ১০ জেলার ২৭ এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এই ১০ টি জেলার মধ্যে বান্দরবান জেলার নাম নেই।

বান্দরবান নতুন ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই নিয়ে বান্দরবান জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৮৬ জন। জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার অং সুই প্রু মারমা এই পাহাড় বার্তাকে এই কথা জানান। তিনি জানান পার্বত্য জেলা থেকে গত ২৪ ঘন্টায় ১২ নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জনের কভিট-১৯ করোনায় ধরা পড়ে। আশংকাজনক ভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার পরও এ ১০ জেলার মধ্যে বান্দরবান জেলার নাম কেন নেই, তা বান্দরবান জেলা বাসীর মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি করেছে।

গত রোববার ২১ জুন মধ্যরাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চট্টগ্রাম, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, যশোর ও মাদারীপুরকে অতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এ ১০টি জেলার ২৭টি রেড জোন এলাকায় সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে। তবে বান্দরবান জেলা প্রশাসন কর্তৃক বান্দরবানের ২টি উপজেলাকে আগে থেকে রেড জোন ঘোষনার কারনে প্রশ্ন উঠেছে, বান্দরবান করোনার রেড জোন স্বিকৃতি পাওয়ার উপযুক্ত জেলা ছিলো কিনা।

NewsDetails_03

আদেশে বলা হয়েছে, রেড জোন ঘোষিত এলাকায় বসবাসরত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে। এই ছুটির মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এছাড়া রেড জোন ঘোষিত এলাকায় অবস্থিত সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত,সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কর্মরত ও অন্য এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও এ ছুটি প্রযোজ্য হবে।

সাধারণ ছুটি চলাকালে এসব এলাকার লোকজনের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়া জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির বাইরে থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন