রোহিঙ্গাদের সাথে মানবিক আচরন করুণ, কোন রোহিঙ্গা যাতে বান্দরবানের সীমান্তে অবস্থান করতে না পারে এবং রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্বের সুযোগে কেউ যাতে তাদের প্রতারিত করতে না পারে তার জন্য প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
রবিবার সকালে বান্দরবান জেলার মাসিক আইনশৃংখলা সভায় এমনটাই জানালেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক । এসময় জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অবস্থানরত সকল রোহিঙ্গাকে নিবন্ধন করে তাদের বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাস্পে নিয়ে যাওয়া হবে এবং কোন রোহিঙ্গাকে বান্দরবানের সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকার সতর্কতা অবলম্বন করছে।
সভায় জানানো হয়, জেলার নাইক্ষংছড়ির বিভিন্ন পয়েন্টে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিবন্ধন করে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাস্পে স্থানান্তর করা হবে এবং কেউ যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের ছবি ও মন্তব্য পোষ্ট করে যাতে কোন ধরনের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে এলাকার শান্তি শৃংখলা বিনষ্ট করতে না পারে তার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
সভায় পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির সীমান্ত নিয়ে বর্তমানে সবাই সচেতন রয়েছে। পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স বর্তমানে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে , এসময় তিনি দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ মহুুর্তে সবাইকে পুলিশের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহবান জানান এবং কেউ যাতে রোহিঙ্গাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণার কর্মকান্ডে অংশ না নেয় তার জন্য সর্তক থাকতে অনুরোধ জানান।
বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে মাসিক আইনশৃংখলা সভায় জেলা প্রশাসক ছাড়া ও সভায় পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রানী সাহা,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুফিদুল আলম,পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী,৬৯ পদাতিক বিগ্রেডের মেজর মো:শফিকুর রহমানসহ বিজিবি,পুলিশসহ বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।