রোয়াংছড়িতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি

বান্দরবার রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনকে ঘিরে মনোনয়ন ফরম নিতে টানটান উত্তেজনা চলছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। তৃণমূল নেতা কর্মীরা চাই গোপন বাক্সের ব্যালট ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্বর পরিবর্তন।

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বে যোগ্যনেতা কে আসতে পারেন? তা নিয়ে আলোচনা চলছে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চুলছেড়া বিশ্লেষন। সম্মেলনকে ঘিরে কিছু নেতা বান্দরবানে জেলার শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা নেতৃত্ব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নির্বাচনকে বেছে নেওয়ার জোর দাবী জানান। এর ফলে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি শক্ত হবে বলে মনে করছে তারা।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক পুহ্লাঅং মারমার বলেন, নির্বাচন বা বাছায়ের মাধ্যমে যে আসুক, দলীয় কাজ করার মতই নেতা আসলেই হবে। তবে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব পরিবর্তনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে দল।

NewsDetails_03

আরো জানা গেছে, দলীয় নির্বাচন পদ্ধতিতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদানের শেষ আগামী ১০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্দিষ্ট তারিখ রাখা হয়েছে। তবে জেলা নেতৃবৃন্দের মতামত,পরামর্শে ও বিবেচনায় নির্বাচন না ও হতে পারেন। ইতিপূর্বে দীর্ঘ ২৫ পর ২০১৬ সালে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপজেলা আ.লীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দসেন তঞ্চঙ্গ্যাকে সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক চহ্লামং মারমাকে সভাপতি পদে তৃণমূলে নেতাকর্মীদের গোপন বাক্সের ব্যালট পেপারের মাধ্যমে পরিবার্তনে আনেন। নতুন নির্বাচিত সদস্যকে নিয়ে গঠন করা হয় নতুন কমিটি। বর্তমান কমিটির ৩বছর দায়িত্ব পালনের পর মেয়াদ শেষ হওয়ায় পুনরায় নতুন কমিটি গঠনে সম্মেলনে প্রস্তুতি নিয়া হয়েছে।

একাধিক নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, বাছায়ের মাধ্যমে উপজেলার নেতৃত্ব আসছে পারে এই গুঞ্জনে ইতিমধ্যে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। প্রবীণ নবীনদের উৎসাহ উদ্দীপনায় নির্বাচনে মাধ্যমে নেতৃত্বদানকারীকে বাছাই করা জোর দাবি উঠেছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে। দলের অধিকাংশ নেতারা বাছায়ের চূড়ান্ত সিন্ধান্ত না করে মুক্ত রাজনীতি করতে নতুন প্রজন্ম অভিবাবক চাচ্ছেন। সার্বক্ষণিক যাতে আপদে বিপদে কর্মীদের পাওয়া যাবে এবং যে কোন সময়ে চূড়ান্ত সিন্ধান্ত দিতে পারবে তাদেরকে সভাপতি সম্পাদক হিসেবে চাচ্ছেন বলে জানিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান আথুইমং মারমা বলেন, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আ.লীগের রোয়াংছড়ি উপজেলা শাখা গঠিত হয়। তৎকালীন সময়ের আমাদের যারা আ.লীগের কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পালন করে গেছেন তারা হলেন ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত ৩৩৮নং রোয়াংছড়ি মৌজা হেডম্যান মংহ্লাচিং মারমা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মিন্টু মজুমদার,১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মাষ্টার অনিল তঞ্চঙ্গ্যা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আথুইমং মারমা,২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সভাপতি পদে কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যা ও সাধারণ সম্পাদক পদে হ্লাথোয়াইপ্রু মারমা,২০১৬ সাল থেকে অধ্যাবধি ২০১৯ সাল পর্যন্ত সভাপতি পদে চহ্লামং মারমা ও সাধারণ সম্পাদক পদে আনন্দসেন তঞ্চঙ্গ্যা দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে আগামীতে যারা কমিটিতে র্শীষ পদে থাকবেন তারা দলীয় কাজ করার মনোভাব থাকতে হবে। শুধু তাই নয়,কর্মীবান্ধব,জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচীতে কর্মীদের স্বতষ্ফুর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার নীতি আদর্শকে লালন পালন ও প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ মেনে চলার মতো এমন তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে নিয়ে পরিবর্তন করা দরকার।

প্রস্তুতি কমিটি সদস্য সচিব জনমজয় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, জেলা নেতৃবৃন্দ সাথে দফায় দফায় আলোচনায় ও পরামর্শের ক্রমে মনোনয়ন ফরম বিতরণ না করে রাখা হয়েছে। তবে যারা প্রার্থী হবেন তারা মনোনয়ন ফরম নিতে পারেন। সভাপতি পদে ফরম নিলে ফরম মূল্যে ১০ হাজার টাকা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ হাজার টাকা অফেরত যোগ্য জমা দিতে হবে। আর আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের সম্মেলন দিনে ও যে কেউ চাইলে প্রার্থী হতে পারবেন।

আরও পড়ুন