রোয়াংছড়িতে এলজিইডির কর্তাদের যোগসাজসে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ হচ্ছে ভবন !

NewsDetails_01

রোয়াংছড়িতে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ হচ্ছে ভবন
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক ২০১৬-১৭ অর্থ সালের বরাদ্দের পাহাড়ের শিক্ষা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষার মনোন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন নতুন ভবন নির্মানের অংশ হিসাবে কানাইজো পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নে সোয়ানলু পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। আর এ নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে, আর তা ক্ষোধ এলজিইডির স্থানীয় কর্তাদের সহায়তায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোয়াংছড়ি উপজেলা নোয়াপতং ইউনিয়নের কানাইজো পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নে সোয়ানলু পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানে উন্নতমানের বালি,রড ও ইট ব্যবহার করার কথা থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী। এতে দুটি স্কুলে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মানে মান সম্মত ইট-বালি ব্যবহার করার কথা শিডিউল অনুসরণে থাকলেও তা মানা হয়নি। বরঞ্চ স্থানীয় বালি দিয়ে নির্মাণ কাজ শেষ করছে ঠিকাদার জসিম উদ্দিন। ২০১৬-১৭ সালের অবকাঠামো উন্নয়নে জরুরী ভিক্তিতে কানাইজো পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৪ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার কাজটি পায় ঠিকাদার জসিম উদ্দিন, ইতিমধ্যে প্রায় কাজ শেষ হওয়ার পথে রয়েছে। এই ঠিকাদারের দুটি কাজে দুই নাম্বার ইট, কঙ্কর ও স্থানীয় বালি ব্যবহার করা হয়েছে।
আরো জানা গেছে, নিম্নমানের কাজ করার কারনে কাজ শেষ না হতেই ছাদ ঢালাই করার জায়গায় থেকে পানি পড়েছে। মূলত: মান সম্মত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না কারার কারনে ভবনগুলো উদ্বোধনের আগেয় এই অবস্থা হয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। ভবনের ছাদ দূর্বল হবার কারনে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ঠিকাদার অধিক লাভের আশায় নিম্নমানের ইট ও পাহাড়ের বালি ব্যবহার করছেন। যেন-তেন ভাবে কাজ শেষ করতে চায়। মানহীন কাজ সরকারের গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের তৎপরতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে স্থানীয়রা ।
স্থানীয় ও স্কুল ম্যানেজিং সভাপতি মংক্যচিং মারমা জানান,এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ পরিদর্শন করতে গেলে দেখা যায় নির্মাণ কাজের সিমেন্ট-বালি দেয়া হচ্ছে তা খুবই নিম্নমানের। ঠিকাদার বেশী মুনাফার লোভে দুর্বল সামগ্রী ব্যবহার করছেন। শিডিউল না মেনে নিম্নমানের কাজ করতে দিয়েছে এলজিইডি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঠিকাদার মো: জসিম উদ্দিন এর সাথে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এদিতে কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো: আলি আজাহার জানান,এখন ছাদ থেকে পানি পড়লেও কোন সমস্যা নেই। আপাতত ছাদ ঢালাই কাজ শেষ করা হয়েছে। তবে ফ্যানেসিং হিসেবে আরো প্রায় দেড় ইঞ্চি ঢালাই করা হবে।

আরও পড়ুন