রোয়াংছড়িতে মিশ্র ফলদ বাগান করে লাভবান হচ্ছে কৃষক
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় ৭একর জমিতে রোপিত বাগানের রাবার গাছ ও সেগুন গাছ কেটে নতুন সৃজিত মিশ্র ফলদ বাগানের ফলন দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সৃজিত ফলদ বাগানের নানা ধরণের ফল দেখতে পেয়ে বাণিজ্যিক ভাবে লাভবানের স্বপ্ন দেখছে কৃষক।
২০২০ সালের বছরে মাঝা মাঝি সময়ে ১২ প্রজাতির ফলদ গাছ নিয়ে ৭ একর জমিতে মিশ্র ফলের বাগান তৈরি করছে আনন্দসেন তঞ্চঙ্গ্যা। ওই বাগানের মধ্যে শীতঋতুতে কয়েক প্রজাতির ফলদ গাছের ফল ধরতে শুরু করে। শীতকাল হলেও বিভিন্ন গাছে রসে ভরা ফল ধরছে। খেতে ভারী মিষ্টি এবং সুস্বাদু।
সাম্প্রতিক সৃজিত ফলদ বাগানের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদ হয়ে অংগ্য পাড়া যাওয়ার সড়কের দুই পাশে মিশ্র ফলদ বাগান সৃজন করা হয়েছে। ফলদ বাগান দেখে দুই চোখ জুঁড়িয়ে যায়। এতে দেখা গেছে, বাগানের বিভিন্ন রকম ফলজ গাছ। এসব গাছ হচ্ছে কাশ্মীরী আপেল কুল, বল সুন্দরী আপেল কুল, আলু বোখরা, সফেদা, মাল্টা, ড্রাগন, কাটিমন আম, আম্রপালি, তেজ পাতা, লেবু, বাতাবী লেবু, রাম বুটান। ইতিমধ্যে বাগানের কাশ্মীরী আপেল কুল,বল সুন্দরী আপেল কুলের ফল ধরে (বড়ুই) পাকতে শুরু করছে। বাগানের ফল দেখতে মিষ্টি সুন্দর ও রসালো ফল। যা দেখলে লোভ সামলাতে পারে না যে কেউ।
বাগানের মালিক আনন্দসেন তঞ্চঙ্গ্যার বলেন, কয়েক বছর আগে অর্থকরি ফসল হিসেবে রাবার চারা এবং সেগুন চারা গাছ লাগিয়েছি। এসব গাছ লাগিয়ে প্রায় ৪/৫ বছর হওয়ার পর কোন লাভের মুখ দেখিনি। পরে কৃষি বিভাগের মানুষের সাথে আলাপ করে গত বছরে রোপিত রাবার গাছ এবং সেগুন গাছগুলোকে কেটে কৃষি বিভাগের পরামর্শে অনুযায়ী মিশ্র ফলের বাগান সৃজন করেছি। এ বাগান করার পর থেকে কৃষি বিভাগে লোকেরা পরামর্শ ও নানা রকম সহযোগিতা করেছে। এছাড়া সৃজিত গাছগুলো এক বছর হতে না হতে ফল ধরেতে শুরু করেছে। আগামী দুই এক বছরে মধ্যে উৎপাদিত ফল বিক্রি করে প্রচুর লাভবান হতে পারবো।
এই ব্যাপারে রোয়াংছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা নুসিং মারমা বলেন, আনন্দসেন তঞ্চঙ্গ্যা মিশ্র ফলজ বাগান করার পর থেকে আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ প্রদান করছি। কৃষি বিভাগ থেকে যা যা করণীয় আছে, সবধরণে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আগামীতেও সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।