বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দুর্গম পাহাড়ে বসবাসরত পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীদের যোগাযোগের সুবিধার লক্ষ্যে সরকার উদ্যোগ নিয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক উন্নয়নের ২০১৬-১৭ অর্থ সালে বরাদ্দে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ের রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলি সংযোগ হয়ে হ্নাংঠুক্রি পাড়া সড়ক ইট সলিং এইচ বিবি করণ নতুন রাস্তা নির্মাণ করছে। সরকার ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের অব্যাহত রাখতে প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন রাস্তায় নির্মাণ করতে গেলে কতিপয় ঠিকাদার কাজটি পেয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে।
দুই নাম্বার ও অতিপুরানো ভাঙ্গা ইট দিয়ে চলছে রোয়াংছড়ি উপজেলা আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের রাস্তা নির্মাণে কাজ। এ নতুন রাস্তার নির্মাণে লক্ষে প্রায় ৩-৪ বছর পূর্বে থাকা পুরানো ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। কোন নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে অবাধে দুই নাম্বার ইটগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টেকসই এর লক্ষ্যে উন্নতমানে ইট ব্যবহার করা নিয়ম থাকলেও রাস্তায় নির্মাণে কাজে ভাল ও মানসম্মত ইট ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিন্মমানের ইট। ঠিকাদার মো: শাহাদাৎ অতিলাভের আশায় নিজের ইচ্ছে মতোই নিম্মমানের ও পুরানো ইট দিয়ে রাস্তায় নির্মাণে কাজ করছে। অন্যদিকে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াতে কেবল একটি রাস্তা। বান্দরবানে পার্বত্য জেলা পরিষদের ২০১৬-১৭ সালের অবকাঠামো উন্নয়নে জরুরী ভিক্তিতে রোয়াংছড়ি কচ্ছপতলি সংযোগটি সড়ক হয়ে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ের রবাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এতে নতুন রাস্তা নির্মাণ হবে এমন খবর শুনে স্থানীয়দের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করে। রাস্তায় নির্মাণের কাজে ঠিকাদার মো: শাহাদাৎ এ কাজটি পেয়ে অনিয়ম ও অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজটি করেন। মান সম্মত ইট ব্যবহারের শিডিউল অনুসরণে তাগিদ থাকলেও তা মানা হয়নি।
আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ এর ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য সাহ্লাঅং মারমাসহ এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, এ রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হচ্ছে। ক’দিনে পরে বর্ষা মৌসুম আসলে রাস্তাটি ভেঙ্গে পড়বে। নিয়মনুযায়ী রাস্তা করার কথা থাকলেও দেখা যায় তা টেকসই হবে না। আমাদের সুবিধা বঞ্চিত এলাকাবাসিদের জন্য সড়ক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার এবং সরকারকে সাধুবাদ জানায়। তবে রাস্তা এমন দুই নাম্বার কাজের অবস্থা দেখে খারাপ লাগছে।
নির্মান কাজের মাঝি মোঃ শফিক বলেন, আমরা তো কাজের লোক, ঠিকাদার যা বলবেন সেভাবেই আমরা করবো। এ রাস্তা নির্মাণে এখানে আগে থেকে থাকা পুরানো এক হাজার ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।
এব্যাপারে ঠিকাদার মো: শাহাদাতের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, ভাল মানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ রাস্তা নির্মাণে দেখভাল দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা পরিদর্শনে মাধ্যমে এ রাস্তাটি বুঝে নিয়েছে।
দায়িত্বরত উপ সহকারি প্রকৌশলী থোয়াইচমং মারমা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। তারপরও পুরান ও দুই নম্বার ইট ব্যবহার করলে থাকলে পুরান ইটকে তুলে নতুন ইট দিয়ে পুনরায় করতে হবে। তা না হলে বিল বন্ধ রাখা হবে।