স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে উপজেলার ঝর্ণাটিলা ও লংগদু উপজেলা সদরে উভয়পক্ষের ৮-১০ টি বাড়ীতে দুস্কৃতিকারীরা আগুন দেয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য উপজেলা প্রশাসন দুপুর ১২টার দিকে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চারদিক ঘিরে রেখেছে। তিনটিলা পাড়া,মানিক্যাছড়া, বাইট্টা পাড়া, কাঠালতলা পাড়া, বটতলা এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওই উপজেলায় ১৪৪ধারা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।তিনি অগ্নি সংযোগের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বা কাদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানসহ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য রওনা দিয়েছেন।
এদিকে, নিহত মোটর সাইকেল চালক ও যুবলীগ নেতা নয়নের নামাজের জানাজা উপজেলা পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।এসময় স্থানীয়রা হত্যাকান্ডের জন্য পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছেন। অপরদিকে, রাঙামাটি শহরে এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে পৃথকভাবে জেলা যুবলীগ ও পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
উল্লেখ্য,গত ১জুন লংগদু উপজেলা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মোটর সাইকেল চালক মোহাম্মদ নয়ন’র (২৭) মরদেহ খাগড়াছড়ির দীঘিনালার চার মাইল এলাকায় পাওয়া গেলে আজ সকাল থেকে লংগদু উপজেলায় উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে।