লকডাউনে ক্ষতির মুখে বান্দরবানের পর্যটকবাহী গাড়ী চালকরা

purabi burmese market

করোনার প্রভাবে টানা বন্ধে হুমকির মুখে পড়েছে বান্দরবানের পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ী চালকরা। লকডাউন দীর্ঘমেয়াদি হওয়াতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জেলার পর্যটনখাত, ক্ষতি পুষিয়ে আগামী দিনে নতুন ভাবে এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের কাছে প্রণোদনার আবেদন জানিয়েছে জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

সারাদেশে আবারও মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বান্দরবানে সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এই বন্ধে হাহাকার শুরু হয়েছে পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি চালক ও হেলপারদের। করোনার প্রভাবে টানা বন্ধে হুমকির মুখে পড়েছে বান্দরবানের পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িতরা, পড়েছে চরম দুর্ভোগে। পর্যটন শিল্প নিয়ে যারা আয় রোজগার করে সংসার চালাতো দীর্ঘ বন্ধে তাদের সংসারে দেখা দিয়েছে অভাব আর অনটন।

জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকলে চাঁদের গাড়ি চালকদের আয় রোজগারের কোনো উপায় থাকে না। গাড়ি চললেই তাদের সংসারের খরচ বহন করা সম্ভব হয়। এছাড়া কেউ যেন তাদের দিকে ফিরে তাকানোর নেই। এতে তাদের কষ্টের জীবন নিয়ে চলতে হয়।

বান্দরবানে পর্যটকবাহী গাড়ীর চালক মো: করিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা গাড়ী চালাতে পারছি না, তাই আমাদের আয় নেই, আমরা অনেক কষ্টে দিনযাপন করে যাচ্ছি।

দেশে প্রথমবার করোনার সংক্রমণ দেখা দিলে লকডাউনের আওতায় পড়ে সারাদেশ। পর্যটন কেন্দ্রগুলো তখন বন্ধ হয়ে যায়। সরকার বিভিন্ন ভাবে ত্রাণ দিয়ে সহায়তা করেছে অসহায়দের। তখন চাঁদের গাড়ির চালকরাও পেয়েছিল ত্রাণসামগ্রী। কিন্তু এইবার বন্ধ হওয়ার পর তাদের দিকে এখনো পর্যন্ত কেউ ফিরে তাকায়নি।

dhaka tribune ad2

জানা গেছে, পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করার পর থেকে তাদের ইনকাম করার কোনো পথ নেই। অনেকটা না খেয়ে জীবন বাঁচানোর মতো হয়েছে পরিস্থিতি। এভাবে বন্ধ হয়ে থাকলে তাদের জীবনের চাকা যেন গাড়ির চাকার মতো চলা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে চালকদের পরিবার অনেক বড় ধরনের সমস্যার মুখে পড়বে।

বান্দরবানে পর্যটকবাহী গাড়ীর চালাক মোহাম্মদ বাবু জানান, সারাদেশে যে করোনা ভাইরাস দেখা দিয়েছে, এটা কখন দূর হয় তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। লকডাউনের কারণে আমাদের পর্যটকবাহী গাড়িগুলো বন্ধ হয়ে আছে। আমাদের চলার কোনো পথ নাই।

বান্দরবানে চাঁদের গাড়ি ও পিকআপ রয়েছে প্রায় ৪শ। এই গাড়িগুলোর সঙ্গে চালক এবং হেলপার মিলে জড়িত প্রায় হাজার খানেক। পর্যটন বন্ধ থাকার কারণে এখন কর্মহীন হয়ে পড়ে রয়েছেন তারা।

বান্দরবান মাইক্রোবাস জীপ কার শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক মো:আলমগীর বলেন, পর্যটকবাহী গাড়ী বন্ধ রয়েছে, ফলে পরিবারে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যটকবাহী গাড়িগুলো বন্ধ থাকায় চালক-হেলপার সবাই হতাশ হয়ে পড়ে আছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসনে মিডিয়া সেল এর দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কায়েসুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটনবাহী গাড়ী চালকদের জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা যৌথ উদ্যোগে যানবাহন চালকদের নাম তালিকা নেওয়া হচ্ছে, খুব শীঘ্রই অনুদান দেয়া হবে।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।