লামাকে বিভক্ত করে নতুন উপজেলা গঠনের প্রস্তাব প্রেরণের প্রতিবাদে মুক্ত আলোচনা

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা (ফাইল ছবি)
বান্দরবানের সাবেক মহকুমা (স্থগিত লামা জেলা) লামা উপজেলার সরই, আজিজনগর ও গজালিয়া এ তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে ‘সরই’ উপজেলা গঠনের প্রস্তাব প্রেরণ ও এ উপলক্ষে ২৮ ডিসেম্বরের সরই ইউনিয়নে অনুষ্ঠিতব্য গণশুনানির প্রতিবাদ এবং বন্ধের দাবিতে কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মুক্ত আলোচনা সভা করেছে লামা অখন্ডতা রক্ষা পরিষদ।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে লামা অখন্ডতা রক্ষা কমিটির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, সচেতন নাগরিক পরিষদের আহবায়ক মো. কামরুজ্জামান, জাতীয় পার্টি নেতা মো. ফরিদ উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা থুইনু মং মার্মা, সাহাব উদ্দিন রিটু, উপজেলা অখন্ডতা রক্ষা পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন সোহেল, মো. শাহীন, আরাফাত বুলবুল, মো. শাহীন, আনোয়ার মজনু প্রমুখ।
সভায় দুই শতাধিক পাহাড়ি বাঙ্গালীসহ বিভিন্ন পেশাজীবির মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। সভায় বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক দলের একটি কর্মী সভার উপস্থিতির স্বাক্ষরকে আবেদনকারী সাজিয়ে লামা উপজেলাকে দ্বিখন্তিত করে নতুন উপজেলা গঠনের ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। যারা লামাকে দ্বিখন্তিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আগে লামাকে জেলা বাস্তবায়ন করার পর সরই ইউনিয়নকে উপজেলা ঘোষনা করা হউক।
এর আগের দিন অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে ২৭ ডিসেম্বর বুধবার অর্ধদিবস ও ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস হরতাল পালনের ঘোষণা দেন অখন্ডতা রক্ষা পরিষদের সদস্যরা। পাশাপাশি বাজার ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য দোকান পাঠ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিকে, একই দিন লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী রবিবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, মো. ইলিয়াছ গংদের কথিত ভুয়া বানোয়াট ও ভিত্তিহীন আবেদনের ভিত্তিতে সরই ইউনিয়নকে উপজেলা রুপান্তরের জন্য প্রশাসন কার্যক্রম গ্রহন করেছে। বিতর্কিত উপজেলা গঠনের কার্যক্রম বাতিলের জন্য এক পত্রের মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানান তিনি।

আরও পড়ুন