লামায় আইনজীবির বসতঘর ভাংচুর ও গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

যিনি আইন-আদালতে দাঁড়িয়ে অনেক অসহায়কে সহায়তা দিয়েছেন, তিনিই আজ অসহায় হয়ে পড়েছেন প্রতিপক্ষের দাপটে। হতভাগা এ প্রবীন আইনজীবি হলেন এডভোকেট মমতাজুল ইসলাম (৮০)। তিনি বান্দরবান জেলার লামা ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দীর্ঘ ৪০ বছর আইন পেশায় জড়িত ছিলেন।

আইনজীবি মমতাজুল ইসলাম বলেন, বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে ৫ একর জায়গায় বিভিন্ন ফলদ বনজ বাগান ও বসতঘর সৃজন করে আমি পরিবার পরিজন নিয়ে ভোগ করে আসছি। পাশের জালাল উদ্দীন প্রকাশ বাদশরা হঠাৎ করে গত ১৩ জানুয়ারী এ জায়গার উপর সৃজিত বাগান থেকে জোর করে ২০০টি বেলজিয়াম, ১৫ টি আম ও ১০টি কাঁটাল গাছ কেটে নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় গত ১৫ জানুয়ারী অভিযুক্ত জালাল উদ্দীন প্রকাশ বাদশাসহ ১১জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করি। কিন্তু মামলার পরও পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি সহযোগিতা পাচ্ছিনা।

NewsDetails_03

গত রবিবার দুপুরে (১৯ জানুয়ারী) উপজেলা শহরের কুটুমবাড়ী রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেন আইনজীবি মমতাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বসতঘর ভাংচুর ও দুই শতাধিক গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের যথাযথ আইনি সহায়তা চাই।

জানা যায়, আইনজীবি মমতাজুল ইসলাম ১৯৮২-৮৩ সনে লামা উপজেলার ফাইতং মৌজার আর-২৩৪০ নং হোল্ডিং মুলে ৫ একর জায়গার মালিক হন। সেখানে তিনি জনস্বার্থে মসজিদ-মাদ্রাসা ও বসত ঘর তৈরী এবং বিভিন্ন গাছের বাগান করে ভোগ করে আসছেন। গত ১৩ জানুয়ারী হঠাৎ এ জায়গা থেকে ১ একর ৮০ শতক জায়গার মালিকানা দাবী করে স্থানীয় জালাল উদ্দীন বাদশার নেতৃত্বে ১০-১৫ জন সৃজিত বাগানের গাছপালা কেটে ফেলেন। তৎক্ষনাৎ স্থানীয় ফাইতং পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করা হলে পুলিশ গিয়ে হস্তক্ষেপ করেন এবং কেটে ফেলা গাছগুলো জব্দ করে স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় দেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে জালাল উদ্দিন প্রকাশ বাদশারা গাছগুলো নিয়ে গেলে আদালতে মামলা করি। মামলা দায়েরের খবরে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে জালাল উদ্দীন প্রকাশ বাদশা পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল থেকে লোকজন নিয়ে বসতঘরটি ভেঙ্গে দেন।

এদিকে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আইনজীবির বসতঘর ভাংচুর ও গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় আইনজীবিকে আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন