লামায় গাছ ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বেচু’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ

NewsDetails_01

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ওমর ফারুক বেচু নামের এক গাছ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নামে-বেনামে অভিযোগ করে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

আজ রবিবার দুপুরে লামা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলাস্থ মিলনায়তনে সাধারণ গাছ ব্যবসায়ী ও বাগান মালিক ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জোত মালিক সমিতিরি সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান আকবর মোমিন। এ সময় জোত মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম, সহ-সভাপতি সামছুল আলম ও আবদুল মন্নান কোম্পানী, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুণ অর রশিদ, যুগ্ন-সম্পাদক বাবুল সওদাগর, সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু তৈয়ব, ফতেহ আলী, দোলোয়ার হোসেন বাহার ও শাখাওয়াত হোসেন খোকন সহ অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী গাছ ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে সোলতান আকবর মোমিন বলেন, আমরা বাগান মালিকরা কষ্ট করে বাগান সৃজনের পর পরিপক্ষ গাছ বিক্রি করি। কেউ আবার এসব গাছ ক্রয় করেন। হাজার হাজার শ্রমিকরা এ কাজে শ্রম দিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এখানে গাছ-বাঁশ ব্যবসা ছাড়া তেমন কোন পেশা নেই। তাই হাজার মানুষের জীবিকা যেখানে জড়িত, সেই সেক্টরটি আজ কতিপয় চাঁদাবাজের দ্বারা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অভিযুক্ত ওমর ফারুক বেচু লামা পৌরসভা এলাকার লাইনঝিরি এলাকার বাসিন্দা মো. দুলালের ছেলে।

NewsDetails_03

তিনি বলেন, দেশে যখন পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে সেই সুযোগে ওমর ফারুক বেচু নামের এ কাঠ ব্যবসায়ী লামা বন বিভাগের তৈন রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন সময় শ্রমিক ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০০ গাছ কেটে নিয়ে যায়। আর এ কাজে সহযোগিতা করেন ফরেস্টার মোজাম্মেল হক। এ ঘটনায় বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ ওমর ফারুক বেচুর বিরুদ্ধে ৬-৭টি বন মামলা করে। প্রকৃতপক্ষে ওমর ফারুক বেচু প্রতিনিয়ত রিজার্ভের গাছ কেটে বিক্রি করে বর্তমানে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। শুধু তায় নয়, ওমর ফারুক বেচু কিছু দুষ্কৃতিকারী লোকজনের সহযোগিতায় বিভিন্ন দপ্তরের মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল নাম্বার ও বিভিন্ন কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে লামা বন বিভাগের বিভিন্ন জোত পারমিটের তথ্য সংগ্রহ করে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রদান করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যবসায়ী হতে নগদ অর্থ চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জোত পারমিটের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, সিএফ, সিসিএফ’র বরাবরে অভিযোগ করবো, এসব বলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগও করেন। পরবর্তীতে চাঁদা প্রদান করলে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন ওমর ফারুক বেচু।

সুলতান আকবর মোমিন আরও বলেন, বিগত সরকারে আমলে আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্র ছায়ায় মিয়ানমার থেকে গরু এনে ব্যবসাও করেছেন এই বেচু। বর্তমানেও ওমর ফারুক বেচু বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে লামা বন বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নিকট হতে মাসিক চাঁদাবাজি করে আসছেন। মূলত ওমর ফারুক বেচু বিএনপির কোন সদস্য পদে নেই। অনেক ব্যবসায়ী ওমর ফারুক দ্বারা অতিষ্ট হয়ে গৃহহারা। অপরদিকে যারা গাছ শ্রমিক আছেন তারাও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই ওমর ফারুক বেচুর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন গাছ ব্যবসায়ীরা।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত গাছ ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বেচু বলেন, গাছ ব্যবসায়ী কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এসব মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাই।

আরও পড়ুন