বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় একটি রিসোর্টে এক গৃহবধূ (২১) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মিরিঞ্জা এলাকার একটি রিসোর্টে ঘটনাটি ঘটে। আর এ সময় গৃহবধূর স্বামী রুবেল ধর্ষণে সহায়তা করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে স্বামী রুবেল সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত গৃহবধূর স্বামী রুবেল ও তার বন্ধু সাগরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত দুইজন উপজেলার মধুঝিরি গ্রামের বাসিন্দা। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ রুবেলের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মিরিঞ্জা ভ্যালী রিসোর্টের নাইটগার্ড রুবেল (২৬) তার স্ত্রীকে নিয়ে গত শনিবার রিসোর্টে যায়। সে রিসোর্ট থেকে গত মঙ্গলবার তাকে অন্য আরেক রিসোর্টে নিয়ে স্বামী রুবেলের সহায়তায় ৫ বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে ওই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি স্বামী সহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গৃহবধূর স্বামী রুবেল ও তার বন্ধু সাগরকে গ্রেফতার করে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুলে ৫ দিনের রিমান্ড চায়। পরে দীর্ঘ শুনানির পর আসামীদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত।

এই বিষয়ে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
অন্যদিকে জেলার রোয়াংছড়িতে খিয়াং সম্প্রদায়ের ১৬ বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. জামাল হোসেন (৩২)। তিনি রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক নির্মাণের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক বলে জানা গেছে। গত সোমবার (১০ মার্চ) রোয়াংছড়ি উপজেলার খামতাং পাড়ার এলাকার ঘটনা ঘটে।
এলাকার স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় সড়ক সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক মো. জামাল হোসেন খামতাম পাড়ার পাশে কবরস্থান পাশে এই কিশোরীকে একা পেয়ে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে পাড়ার লোকজন গিয়ে ওই ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনা পাড়ায় জানাজানি হলে গত মঙ্গলবার সকালে রাস্তার কাজে নিয়োজিত অন্য শ্রমিকরা তাকে আটক করে পাড়াবাসীর কাছে তুলে দেন। পাড়াবাসী অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে একটি স্কুলে আটকে রেখে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।