লামায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা
স্কুল থেকে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার সময় বান্দরবানের লামা উপজেলার হারগাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিনের উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পাগলির আগাস্থ মঞ্জুরের বাগানের পাশের রাস্তার উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, হামলার ঘটনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে কিংবা মামলা করলে প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করেন অভিযুক্তরা।
শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত নামা আরও ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন। উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলো- হারগাজা গ্রামের বাসিন্দা মৃত কবির আহমদের ছেলে নুরুল ইসলাম প্রকাশ কালা সোনা (৩৫), চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগিরখিল গ্রামের বাসিন্দা মৃত মো. ইসমাইলের ছেলে হুমায়ুন কবির (৩২) ও নতুন পাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে ছৈয়দ নুর (৪৬), সাশুল আলম (৫০) ও নুরুল হুদা (৪৬), হারগাজা প্রামের বাসিন্দা মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাবুল (৩০) ও নুরুল ইসলামের ছেলে কবির আহাম্মদ (৩৮)।

এজাহার সুত্রে জানা যায়, হারগাজা গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বাবুল ও প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিনের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে শহিদুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে শিক্ষক রুহুল আমিনের উপর অতীতে বিভিন্ন সময় হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। সর্বশেষ শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শিক্ষক রুহুল আমিনের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনকে মারধরের পাশাপাশি স্কুলের নামে ব্যাংকে এফডিআরের জন্য রক্ষিত ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মোটর সাইকেলটি ভাংচুর করে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় কর্তৃক ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতার বিষয়ে শুক্রবার সকালে স্কুলে যাই। কাজ শেষে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্তরা আমার মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে হামলা চালায়। এতে আমি আহত হই।
পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কাছাকাছি চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম প্রকাশ কালা সোন বলেন, প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন আমার জমির উপর দিয়ে তার ধানের জমিতে সেচের পানি পরিবহন করে আসছেন। এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাধা দিলে প্রধান শিক্ষকের সাথে আমার তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ও তার সাথে থাকা নুরুল আবচার উল্টো আমার উপর আক্রমন চালালে টমটম যাত্রীরা আমাকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের উপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।