আমি জানি, কোনো একদিন অপর প্রান্ত থেকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আমার কাছে একটি ফোন আসবেই। তখন বলবে, আমি তোমার। বহু কষ্টে বিশাল ইতিহাসের কিছু অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরেছেন সেফায়েত ফাহিম নামের এক প্রেমিক। গোপনে প্রেমিকার বিয়ে হবার পর নতুন বর কফিল উদ্দিন গত শনিবার সন্ধ্যায় একটি প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান মহাসড়ক হয়ে লোহাগাড়া উপজেলার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রেমিকাকে শেষবারের মত ৫ মিনিট দেখার ইচ্ছে ছিল প্রেমিক ফাহিমের। সেজন্য পটিয়া সদরের ইন্দ্রপুল এলাকায় পৌঁছালে প্রেমিক ফাহিম দলবল নিয়ে বরের গাড়িটিকে তাড়া করে। বরের গাড়ি আটকের বিষয়টি পটিয়া থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ প্রেমিক-প্রেমিকা ও বরকে থানায় নিয়ে মোট চারজনকে আটক করে থানা হাজতে আটকে রাখে, পরে তাদের ছেড়ে দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের কন্যা ফারহানা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার সৌদি প্রবাসী কফিল উদ্দিনের আকদ্ গত শুক্রবার সম্পন্ন হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম মহসিন কলেজের ছাত্র ও চন্দনাইশের বাসিন্দা সেফায়েত ফাহিমের সঙ্গে ফারহানার প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ দুবছরের বেশি সময় ধরে। গোপনে প্রেমিকার বিয়ে হবার খবর পেয়ে সেফায়েত ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
এই ব্যাপারে পাহাড়বার্তা থেকে লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
গত রোববার সকালে প্রেমিক সেফায়েত ফাহিম তার ফেসবুকে লিখেছেন, ২০১৭ সালের ১২ জুলাই তাদের সম্পর্কের শুরু। দুবছর ১৪ দিনের একটি প্রেমের সম্পর্ক যেন হাইজাক করা হয়েছে। তবে আমি জানি, কোনো একদিন অপর প্রান্ত থেকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আমার কাছে সে ফোন করবেই।
প্রেমিক সেফায়েত ফাহিম পাহাড়বার্তাকে বলেন, ফারহানার মা রেনুয়ারা বেগম মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে,জোর করে বিয়ে দিয়ে। তিনি আরো বলেন,ফারহানার কাছ থেকে ১১টি মোবাইল নিয়ে নেই,তারপরও ১দিনের বেশি কথা বলে রাখতে পারেনি। তিনি আরো জানান, ঘটনার পর ফারহানার বর উফিল উদ্দিন আমাকে ফোন করেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি খুব বিব্রত বোধ করেন, তিনিও আমাদের এই সম্পর্কের কথা জানতেনা।
পটিয়া থানার উপপরিদর্শক নাদিম মাহমুদ জানিয়েছেন,গত শনিবার রাতে অপহরণ করার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ একটি প্রাইভেট গাড়িসহ ৪জনকে আটক করে। পরে রাতে পুলিশ জানতে পারে প্রেমিক-প্রেমিকার ঘটনা,তাই অভিযোগ না করার কারনে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।