লামার দূর্গম এলাকায় নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপনের দাবী

বান্দরবানের লামা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা
বান্দরবানের লামার দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারি নিরীহ মানুষগুলো উভয় সংকটে পড়েছেন। একদিকে তথাকথিত শান্তিবাহিনীর চাঁদাবাজি অন্যদিকে তাদের তৎপরতা সম্পর্কে আইনশৃংখলা রক্ষাকারি কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করার অভিযোগে নির্যাতন। এ কারনে সম্প্রতি দূর্গমে বসবাসকারিরা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্খা দেখা দিয়েছে। ফলে অস্থায়ী নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার লামা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এসব কথা বলেন।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খিনওয়ান নু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌূধুরী। এতে পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারাবান তহুরা, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া বিশেষ অতিথি ছিলেন।
সভায় দুর্গম এলাকায় বসবাসকারিদের দুর্দশার বর্ণনা দিয়ে বক্তব্য রাখেন, লামার গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন ও রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনুঅং চৌধুরী বলেন,পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় তুলে ধরা হবে।
পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম বলেন, যে কোন মূল্যে শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে হবে। লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দূর্গমে বসবাসকারিদের জীবনযাত্রায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে দেয়া যাবে না।

আরও পড়ুন