লামার বমু সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বসতঘরে সন্ত্রাসী হামলা

নারীসহ আহত ৫

বান্দরবানের লামা উপজেলার আওতাধীন বমু সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সামাজিক বনায়নের কিছু জায়গা বরাদ্দ পায় কৃষক নুরুল করিব। গত কয়েক বছর ধরে এ জায়গার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে পাশের আনোয়ার হোসেনদের। তারা এ জায়গা জবর দখলে নিতে কৃষক নুরুল কবির ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে নানাভাবে হুমকি দেয়। এতেও জায়গা ছেড়ে না দেওয়ায় এক সপ্তাহের মধ্যে নুরুল কবিরকে হত্যা করবে বলে হুমকিও দেন প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেনরা। গত ১৬ ও ১৭ মে দুই ধাপে কৃষক নুরুল কবির ও তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের বসতঘরে হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। এতে নারীসহ ৫জন আহত হয়।

আহতরা হলেন, বমুলম্বাছড়া পাড়ার বাসিন্দা মৃত আবদু ছালামের ছেলে কৃষক নুরুল কবির (৭০), তার স্ত্রী খুইল্লা বিবি (৫০), ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৫) ও ফয়সাল (১৭), মো. হারুনের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৩৫)।

NewsDetails_03

অভিযোগে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বন বিভাগের আওতায় সামাজিক বনায়নের জায়গা বরাদ্দ পায় নুরুল করিব। গত কযেক বছর ধরে এ জায়গা প্রতিপক্ষ আনোযার হোসেনরা দখলে নিতে বিভিন্ন ভাবে অপচেষ্টা শুরু করেন। জবর দখল চেষ্টার প্রতিকার চেয়ে নুরুল কবির বিভিন্ন সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও বন বিভাগ বরাবর অভিযোগ করেন। সাশিশী বৈঠকে জায়গা নুরুল কবিরের বলে প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখও করেন বন বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ আনোয়ার হোসেনরা। তারা এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জায়গা ছেড়ে দিতে প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকেন। এ ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন, নাছির উদ্দিন ও কাওচার রানার নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া শহিদুল আমিন বার্মাইয়া ও জয়নাল আবেদীন, জান্নাতুল ফেরদৌস ও শফিউল আলমরা সংঘবদ্ধ হয়ে দা লাঠি সোঠা ও অস্ত্রশস্ত্রে সজিজ্জত হয়ে শনিবার ‘সকাল ৯টার দিকে (১৭মে) নুরুল কবিরের বসতঘরে হামলা চালায়। এতে নুরুল কবির পরিবারের দুই নারীসহ ৫জন আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা নুরুল কবিরের একটি ধান ভাঙ্গানোর একটি মেশিনও ভাংচুর করে। এর আগেরদিন দুপুরে নুরুল কবিরের ছেলের বসতঘরেও হামলা করে তারা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কাছাকাছি লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক আহত মোস্তাফিজুর রহমানকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেপার করেন। এ বিষযে অভিযুক্তদের মধ্যে কাওচার রানার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার রিং করার পরও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মুজিবুর রহমান বলেন, ১৬ মে দুুুপুরে আনোয়ার হোসেনরা সামাজিক বনায়নের জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নুরুল কবিরের ছেলে বাবুল হাসানের তামাক তুন্দুল ভাংচুর করেন। এর প্রতিবাদ করায় শনিবার সকালে নুরুল কবিরের বাড়িতেও বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা করেন আনোয়ার হোসেনরা। এতে নুরুল কবির পরিবারের পাচজন আহত হন।

আরও পড়ুন