বান্দরবানের লামা উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার মহাজনের বিরুদ্ধে এক শিক্ষকের কাছ থেকে বিভিন্ন খাত থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার লুলাইংমুখ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিপন চন্দ্র শর্মা লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। উপবৃত্তি, স্লিপের কাজ ও প্রাক-প্রাথমিক খাতের বরাদ্দ থেকে এ ঘুষ গ্রহণ করেন তিনি।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইংমুখ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬৭জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ১৮৮জন শিক্ষার্থী চলতি অর্থ বছরে উপবৃত্তির জন্য মনোনিত হয়। বিদ্যালয়টি দুর্গম পাহাড়ি এলাকা,মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিপন চন্দ্র শর্মাকে তালিকা তৈরির সময় কিছু লোকের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করার আদেশ দেন। আদেশক্রমে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কিছু মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে সব সমাধান করবেন বলে ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন তিনি। পরবর্তীতে উল্লেখিত শিওর ক্যাশ থেকে টাকা উত্তোলন করে অভিভাবকদের নিকট উপবৃত্তির টাকাও বুঝিয়ে দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিপন চন্দ্র শর্মা।
আরো জানা গেছে, এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের স্লিপ কাজ ও প্রাক প্রাথমিকের বরাদ্দের টাকা থেকে আরও ১০ হাজার টাকা নেন। এছাড়া সরেজমিন বিদ্যালয় পরিদর্শন না করে অফিসে পরিদর্শন খাতা এনে পরিদর্শন দেখিয়ে ৫০০ টাকা এবং ১ প্যাকেট বেনসন সিগারেটও নেয় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার মহাজন।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার মহাজন বলেন, লামা উপজেলায় সরকারী চাকুরী করতে এসেছি, ঘুষ খাওয়ার জন্য আসিনি।
►►ঘোষনা
মো: কবির হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মনিটরিং অফিসার (ডিপিইও)। কক্সবাজার জেলার দায়িত্ব থাকলেও তিনি বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। তিনি স্কুল ভিজিটের নামে লামাসহ অন্য উপজেলার শিক্ষকদের হয়রানি এবং মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতে ঘুষ আদায় করেন বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। আর এই ব্যাপারে বিস্তারিত সংবাদ জানতে চোখ রাখুন পাহাড়বার্তা’য়।