অভিযোগে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের আওতায় লামা সদর ইউনিয়নে মেরাখোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পটি ২৫ একর জায়গার ওপর স্থাপন করা হয়। এতে হত দরিদ্র গৃহহীন ৯৭টি পরিবারের প্রায় সাড়ে ৩শ মানুষের মাথা গোঁজার ঠাই হয়। ওই সময় সরকারী অর্থায়নে প্রকল্পের খালি জায়গায় বাগানও সৃজন করে আশ্রিতরা। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকল্পের চৌহদ্দী ধরে দেয়া হয়। চৌহদ্দী মতে, উত্তরে রয়েছে- পুকুরের পাড় ও ওসমান, দক্ষিণে রয়েছে চলাচলের রাস্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন,পূর্বে রয়েছে- রাস্তা ও মসজিদ এবং পশ্চিমে রয়েছে- উজ্জলের জায়গা। মানুষ মারা গেলে আশপাশ এলাকায় কোন কবরস্থান না থাকায় প্রকল্পবাসী ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সর্ব সম্মতিক্রমে প্রকল্পের ৬০শতক জায়গা কবরস্থানের জন্য নির্ধারণ করা হয়। ইতিমধ্যে কবরস্থানে লাশও দাফন করা হয়।
আরো জানা গেছে, সম্প্রতি লামা পৌরসভা এলাকার পশ্চিম রাজবাড়ী এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম ওই জায়গা তার দাবী করে বিভিন্নভাবে জবর দখলের চেষ্টা শুরু করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে ইতিমধ্যে প্রকল্পের আশ্রিত মো. হোসেন, জিয়াবুল, ইউছুপ আলী, ছফুরা খাতুনের বিরুদ্ধে গাছ কাটার মিথ্যা অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেন আবুল কাশেম। এছাড়াও মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. হারুণ ও মনির আহমদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেও অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ করেন জবরদখলকারী।
অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে অভিযুক্ত আবুল কাশেম জানান,মেরাখোলায় তার বন্দোবস্তিকৃত জায়গা রয়েছে। এদিকে কবরস্থানের জায়গাটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের চৌহদ্দীর মধ্যে বলে জানান স্থানীয়রা।
আশ্রয়ন প্রকল্পের সর্দার মো. সেকান্দর ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. বলেন, আবুল কাশেম আশ্রয়ন প্রকল্পের জায়গা জবর দখলের উদ্দেশ্যে আমাদের ও প্রকল্পবাসীর বিরুদ্ধে আদালতসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী করছেন। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন জানান, প্রকল্পের জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষই পরিষদে অভিযোগ করেছিল। বিষয়টি সমঝোতার লক্ষে উভয় পক্ষকে পরিষদে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কোন পক্ষই বৈঠকে সাড়া দেয়নি বিধায় উচ্চ আদালতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে পক্ষদ্বয়কে।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, মামলা হামলা দিয়ে হয়রানীসহ কবরস্থানের জায়গা জোর পূর্বক দখল চেষ্টার ঘটনায় আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসীরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত পূর্বক জবরদখলকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।