লামায় ঈদুল ফিতরে চাল পাবে ১১ হাজার ৯৮৯ অতি দরিদ্র পরিবার

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা উপজেলার ১১ হাজার ৯৮৯ অতি দরিদ্র পরিবার পাবে ভিজিএফ‘র চাল। ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রণালয় ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৮ হাজার ৯০৮টি পরিবারের জন্য ৮৯.০৮০ মেট্রিক টন এবং পৌরসভার ৩ হাজার ৮১ পরিবারের জন্য ৩০.৮১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বন্যাক্রান্ত, অন্যান্য দুর্যোগক্রান্ত, দুস্থ, অতি দরিদ্র ব্যক্তি, পরিবারকে খাদ্য শস্য সহায়তার জন্য ভিজিএফ কর্মসূচি আওতায় খাদ্যশস্য প্রদান করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রণালয় ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জন্য ১১৯.৮৯০ মে.টন চাল বরাদ্দ প্রদান করে। এ জন্য উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করে দাখিল করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে উপ-বরাদ্দ মূলে পত্র ইস্যু করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রাপ্ত ভিজিএফের বরাদ্দ মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদের নামে উপ বরাদ্দ করেন।
উপ-বরাদ্দ অনুযায়ী গজালিয়া ইউনিয়নে ১১শ পরিবারের জন্য ১১ মেট্রিক টন, ২নং লামা সদর ইউনিয়নে ৮৪০ পরিবারের জন্য ৮.৪০০ মেট্রিক টন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ২ হাজার ৫৪৬ পরিবারের জন্য ২৫.৪৬০ মেট্রিক টন, ৪নং আজিজনগর ইউনিয়নে ১ হাজার ৪৫ পরিবারের জন্য ১০.৪৫০ মেট্রিক টন, ৫নং সরই ইউনিয়নে ১ হাজার ১১৪ পরিবারের জন্য ১১.১৪০ মেট্রিক টন, ৬নং রূপসী পাড়া ইউনিয়নে ১ হাজার ১৪৫ পরিবারের জন্য ১১.৪৫০ মেট্রিক টন এবং ফাইতং ইউনিয়নে ১ হাজার ১১৮ পরিবারের জন্য ১১.১৮০ মেট্রিক টন বিভাজন করা হয়েছে। প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে।
এই ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ কার্ড পাবে না। ঈদুল ফিতরের পূর্বেই বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করা হবে। বিতরণে স্বচ্ছতার জন্য প্রতি ইউনিয়নে টেক অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন