লামায় এসএসসি ফলাফলে শীর্ষের মুকুট কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ঘরে

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা উপজেলায় ১১টি উচ্চ ও নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এস.এস.সি এবং ৪টি মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষায় ১ হাজার ৫৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ হাজার ২৪৫জন। এর মধ্যে মাদ্রাসা পর্যায়ে ১৭৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করে ১২৭জন, ফেল করেছে ৫২জন, পাশের হার ৭১%, জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১ জন।

স্কুল পর্যায়ে ১ হাজার ৩৯৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করে ১ হাজার ১১৮জন, ফেল করেছে ২৭৮জন, পাশের হার ৮০%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন। উপজেলার স্কুল পর্যায়ে ৪টি ও মাদ্রাসা পর্যায়ে ১টি কেন্দ্রে একযোগে গত ফেব্রুয়ারী মাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এবারে উপজেলায় সর্বোচ্চ পাশের হার ও জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষে রয়েছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল। ফলাফল অনুযায়ী এবারে মাদ্রাসার চেয়ে স্কুলগুলো ভালো করেছে। তবে গতবারে স্কুলের চেয়ে মাদ্রাসাগুলো ভালো ফলাফল করেছিল।

প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়, উপজেলার লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৮২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৪০ জন, জিপিএ-৫ পায়নি কেউ, ফেল করেছে ৪২জন, পাশের হার ৭৬.৯২%। আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৬ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৭২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, ফেল করেছে ৪জন, পাশের হার ৯৫%। লামামুখ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৬৪ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৩৪জন, এ বিদ্যালয়ে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি, ফেল করেছে ৩০জন, পাশের হার ৮২%। ফাঁসিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৩ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৫৫জন, এ বিদ্যালয়েও কেউ জিপিএ-৫ পায়নি, ফেল করেছে ৫জন, পাশের হার ৮৭%।

চাম্বী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৮৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৬৪জন, ফেল করেছে ২১, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন, পাশের হার ৮৯%। আলহাজ্ব শফিক উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৪জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২১জন, ফেল করেছে ৩জন, পাশের হার ৮৭%, হায়দারনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করে ৭১ জন। এ বিদ্যালয়ে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। ফেল করেছে ২২জন, পাশের হার ৭৬%। ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৮৩জন, ফেল করেছে ৩৩জন, পাশের হার ৭২%।

NewsDetails_03

ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১০৮ জন, ফেল করেছে ৩৫জন, কেউ জিপিএ-৫ পায়নি, পাশের হার ৭৪%। গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৯৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২১৯জন, জিপিএ-৫ পেয়েছ ১জন, ফেল করেছে ৮০জন, পাশের হার ৭৩%। কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫১জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন, পাশের হার ১০০%। শতকরা হারে সবচেয়ে কম পাশ করেছে ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ে।

এদিকে উপজেলায় সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল। এ বিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, লামা ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ৩৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৮জন, জিপিএ-৫ পায়নি কেউ, ফেল করেছে ২১জন, পাশের হার ৪৬%। এ মাদ্রাসার ভোকেশনালে ১২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৬জন। ফেল করেছে ৬জন। মোট পাশের হার ৫০%। লাইনঝিরি দাখিল মাদ্রাসার ৭৬পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫৯জন, কেউ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন, ফেল করেছে ১৭জন, পাশের হার ৭৭.৬৩%। তামেরি মিল্লাত দাখিল মাদ্রাসার ১৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৩ জন, জিপিএ-৫ পায়নি কেউ, ফেল করেছে ৫জন, পাশের হার ৭২%। হায়দারনাশী দাখিল মাদ্রাসার ৪৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩৭জন, ফেল করেছে ৯জন, পাশের হার ৮০.৪৩%।

ফলাফল অনুযায়ী শতকরা হারে সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে হায়দারনাশী দাখিল মাদ্রাসা। সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা। ফলাফল বিপর্যয়ের কারনে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওইসব প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরা। তারা ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের দায়ী করে বলেন, শিক্ষকদের অবহেলার কারনে ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গাউসুল আজম বলেন, সব দিক থেকে এবারে উপজেলার মাদ্রাসার চেয়ে স্কুলগুলো ভালো ফলাফল করেছে। তাছাড়া সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ ও শতভাগ পাশের হারে শীর্ষ স্থান দখল করেছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল।

আরও পড়ুন