বান্দরবানের লামা উপজেলায় প্রথম বারের মত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন আমেনা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূ। স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্বেচ্ছাসেবীরা মৃত গৃহবধূর নামাজে জানাজা ও দাফন-কাফন সম্পন্ন করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩জুন) যোহরের নামাজের পর উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের মুসলিম পাড়াস্থ জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে ওই গৃহবধূর লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মৃত গৃহবধূর স্বামী বাবুল হোসেন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ মে মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা আমেনা বেগম লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তার অবস্থার অবনতি হলে একই দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন চিকিৎসকেরা। সেখানে ভর্তি করার পর আমেনা বেগমের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠালে রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসে। এক পর্যায়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে গৃহবধূ আমেনা বেগম মারা যান। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজা রশীদ গৃহবধূর দাপন সম্পন্নের জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের খবর দেন। পরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার মো. পারভেজ মাসুদের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবীর একটি টিম স্বাস্থ্য বিধি মেনে গৃহবধূ আমেনা বেগমের কাফন ও দাফন কাজ সম্পন্ন করেন।
এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, দাফন সম্পন্নের পর মৃত আমেনা বেগমের পরিবার ও প্রতিবেশীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
এ বিষয়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার মো. পারভেজ মাসুদ বলেন, উপজেলায় এই প্রথম মমতার পরশে করোনায় মৃত গৃহবধূর দাফন ও কাফন সম্পন করেছি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমরা সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত প্রায় ৩ হাজার মানুষের দাফন কাফন ও সৎকার করার পাশাপাশি মৃতের পরিবারের সদস্যদেরকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীরা।
এই ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজা রশীদ বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলার সরই ইউনিয়নস্থ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের খবর দিই। তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে গৃহবধূ আমেনা বেগমের লাশ দাফন ও কাফন সম্পন্ন করেছেন।