বান্দরবানের লামা উপজেলায় একটি জীপগাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে ৪ শিক্ষক ও ১২ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হলেও তাদের চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে মৃত্যু বরণ করেন কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক কাইছার জাহিদুল হাসান। এই তথ্য পাহাড়বার্তাকে নিশ্চত করেন লামা কোয়ান্টামের পরিচালক আরিফুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার লামা-সুয়ালক সড়কের ডিসি মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, শিক্ষক কাইছার জাহিদুল হাসান, শাহা আলম, ফাতেমা বেগম, আক্তার, ছাত্রী উহাইয়ে (১০), বেদি (১৩), আয়েশা (১০), রেশমী (১১), আদিলা (১১), রুবাইয়া (১৭), প্রতিভা (১৩), শাহানাজ (১১), জেসমিন আক্তার (১৩), জুঁই (১১), নাদিয়া (১৩), খতিজা (১৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক তিন জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার ও অপর ৩জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, পরে শিক্ষক কাইছার জাহিদুল হাসান মারা যান।
স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, উপজেলার সরই ইউনিয়নস্থ কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজের ৪ শিক্ষক ও ১২জন শিক্ষার্থী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক টিটিএন্ড ডিসি মাঠে আয়োজিত গ্রীস্মকালীণ ফুটবল টুর্ণামেন্টে খেলায় অংশ গ্রহণ শেষে একটি জীপগাড়ি (ঢাকা-ল ৩৫১) যোগে ফিরছিলেন। গাড়িটি সড়কের ডিসি মোড এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা আরেকটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় দুই শত ফুট পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। এতে গাড়িতে থাকা ৪ শিক্ষক ও ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
এদিকে ঘটনার পর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি, গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপ্পেলা রাজু নাহা আহতদেরকে দেখতে হাসপাতালে যান।