স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পাহাড়বার্তাকে জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে ‘মোরা’র তান্ডব শুরু হয়। এতে পৌরসভাসহ ইউনিয়নগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রায় তিন ঘন্টার তান্ডবে লামার পৌর এলাকার দুই হাজার কাঁচা পাকা ঘরবাড়ি আংশিক ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় মাটির ঘর ভেঙ্গে রাজবাড়ি এলাকায় আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। এছাড়া লামা-রুপসীপাড়া সড়ক, লামা-আলীকদম সড়কের ওপর বিভিন্ন স্থানে গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খিনওয়ান নু পাহাড়বার্তাকে জানান, মোরা‘র তান্ডবে কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, তবে বড় ধরণের কোন ক্ষতি হয়নি। বিদ্যুৎ খুটি ও গাছপালা উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে
অপরদিকে, তছনছ হয়ে যায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২০টি ঘরবাড়ি। ওই সময় বগাইছড়ি, হারগাজা, সাফেরঘাটা ও বনপুর সড়ক এবং লামা-সুয়ালক, ক্যায়াজুপাড়া-লুলাইং ও ক্যয়াজুপাড়া-ধুইল্যাপাড়া সড়কের ওপর গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। লামা সদর ইউনিয়নেও অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। রুপসীপাড়া ইউনিয়নের আর্মি ক্যাম্পের গোলঘরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪০টির মত বসতঘর আংশিক ও সম্পুর্ণ তছনছ এবং গাছ চাপা পড়ে বৈদ্যভিটার ক্যচিংথোয়াই মার্মা (৪৫) নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া আজিজনগর ও ফাইতং ইউনিয়নেও ব্যাপক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। উপড়ে গেছে গাছপালাসহ বিদ্যুতের খুটি। এতেও বন্ধ হয়ে যায় ওইসব এলাকার সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ। পাশাপাশি ইউনিয়নগুলো ও পৌর সভা এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়ে বলে কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী পাহাড়বার্তাকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরকে মোরা’র তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির তালিকা তৈরির জন্য বলা হয়েছে।