ঘুমের ওষুধ বিক্রি না করায় বান্দরবানের লামা উপজেলায় এক দোকান মালিকের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বাজার বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল হামিদের ওপর স্থানীয় বাদশা ও রাসেল নামের দুই ব্যক্তি এ হামলা করে বলে জানান, ব্যবসায়ী স্বপন নাথ। হামলার ঘটনা বাজারে ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা দোকান পাঠ বন্ধ করে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এতে দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় ক্রেতা সাধারণ। খবর পেয়ে স্থানীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়,মেম্বারপাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে মো.বাদশা গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইয়াংছা বাজারের আর এস ফার্মেসীতে ঘুমের ওষুধ কিনতে যান। চিকিৎসকের কোন ব্যবস্থা পত্র দেখাতে না পারায় দোকান মালিক স্বপন নাথ তার কাছে ঘুমের ওষুধ বিক্রিতে অনিহা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে বাদশা ও দোকান মালিকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাদশা ও তার সঙ্গী রাসেল উত্তেজিত হয়ে দোকান মালিকের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করতে গেলে বাদশা ও তার সঙ্গী রাসেল উল্টো বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল হামিদের উপর হামলা করেন। পরে আবদুল হামিদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
ইয়াংছা বাজার ব্যবসায়ী মো. তুষার, মো. সেলিম, মো. সোহেলসহ আরো অনেকে বলেন, অন্যায়ভাবে বাজার সভাপতির উপর হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিকভাবে আমরা দোকান পাঠ বন্ধ রেখেছি। উপর্যুক্ত বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা দোকান পাঠ খুলবো না।
আর এস ফার্মেসীর মালিক স্বপন নাথ জানায়,চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখাতে না পারায় আমি বাদশাকে ঘুমের ওষুধ দিতে অনিহা প্রকাশ করি। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে আমার ও বাজার ব্যবসায়ী সভাপতির ওপর হামলা করেন। অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত বাদশা বলেন, ব্যবসায়ীকে কোন মারধর করা হয়নি। কথাকাটাকাটি হয়েছে মাত্র। এদিকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. শহীদুজ্জামান বলেন,বিষয়টি সামাজিকভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, ইয়াংছা বাজার ব্যবসায়ী ও ক্রেতার মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের কথা শুনেছি। তবে আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।