লামায় চলাচলের রাস্তা কেটে নালা নির্মাণ করলেন ইউপি সচিব !

NewsDetails_01

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় এক ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের দীর্ঘ ৪০ বছরের চলাচল রাস্তা কেটে পানি চলাচলের নালা নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের আন্দারী দ্রেরাজ মিয়া পাড়ার চলাচলের রাস্তার জোড়া ব্রীজ এলাকায় উপজেলার সরই ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. মুছা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ কাজটি করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, লামা- সুয়ালক সড়কের সরই ইউনিয়নের জোড়া ব্রীজ থেকে স্কেভেটর দিয়ে খুঁড়ে প্রায় দুইশত ফুট দৈর্ঘ্যরে পানি চলাচলের একটি নালা নির্মান করা হয়েছে। নালাটি পুরনো একটি চলাচলের রাস্তা কেটে করা হয় বলে দৃশ্যমান দেখা গেছে।

এ সময় স্থানীয় রুমিনা আক্তার বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে আমাদের সরই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মুছা একটি স্কেভেটর লাগিয়ে পাড়ার লোকজনের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি জোর করে কেটে নালা করে ফেলেন। আমরা এলাকাবাসী বাঁধা দিলেও আমাদের কথা না শুনে রাস্তাটি কেটে নালা করা হয়। এখন আমাদের চলাচলের কোন রাস্তা নেই।

NewsDetails_03

এদিকে পাড়ার আরো দুই বাসিন্দা মো. আব্দুল আওয়াল (৬২) ও মো. ইসমাইল বলেন, এ দ্রেরাজ মিয়া পাড়ায় ১৯৮০ সাল থেকে আমরা স্ব-পরিবারে বসবাস করে আসছি। তখন থেকে জোড়া ব্রীজ হয়ে রাস্তাটি পাড়ার সবাই ব্যবহার করে আসছি। ইউপি সচিব মো. মুছা তার মামা শশুর লোহাগাড়ার বাসিন্দা আবুল হোসেনের জমির উপর ছড়ার পানি বন্ধ করতে আমাদের পাড়ার চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি কেটে নালা বানিয়ে ফেলেছে। এখন আমাদের হাঁটার কোন ব্যবস্থা নেই। আমরা এ বিষয়টি সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফরিদ উল আলমকে জানিয়েছি।

অভিযুক্ত ইউপি সচিব মো. মুছা জানান, এ জায়গা আমার না। আমার মামা শশুরের। তাই ওনাদের জামাই হিসাবে এ জায়গা দেখভাল করা আমার দায়িত্বে পড়ে। আমার মামা শশুর এখানে থাকেনা। ওনি লোহাগাড়ায় থাকেন। এলাকাবাসীর জন্য পরে অন্য দিক দিয়ে রাস্তা করে দিবেন বলেও জানান তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফরিদ উল আলম জানায়, আমার ইউনিয়নের জোড়া ব্রীজ থেকে আন্দারী দেরাজ মিয়া পাড়ার লোকজন এ রাস্তাা দিয়ে দীর্ঘ ৪০বছর ধরে চলাল করে আসছেন। জনগণের চলাচলের রাস্তাটি স্কেভেটর দিয়ে কেটে নালা নির্মাণ করা আমার পরিষদের সচিব মুছার মোটেও উচিত হয়নি।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী মো. রেজা রশীদ বলেন, সরই ইউপি সচিব মুছা মানুষের চলাচলের রাস্তা কেটে নালা নির্মান করার ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত টিম গঠন করে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও পড়ুন