মাটি, পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর তামাকের বিকল্প হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ইক্ষু চাষ উন্নয়নের কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বান্দরবানের লামা পৌরসভা এলাকার শিলেরতুয়া গ্রামের কৃষক সুইচিং মার্মার আখ ক্ষেতে এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে বান্দরবান সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট। এ উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ইক্ষু গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. এবিএম মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত মাঠ দিবসে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ইক্ষু গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের রোগ তত্ব বিভাগের প্রধান ড. মো. সামছুর রহমান, প্রকল্পের এগ্রো প্রসেসিং এন্ড ভ্যালু এডিশন এক্সপার্ট কৃষিবিদ মো. মাহবুবুল হক, উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা স্বপন দাশ, সাংবাদিক মো. নুরুল করিম আরমান অতিথি ছিলেন। দিবসে উপজেলার ৭০ জন কৃষক-কৃষানী অংশ গ্রহন করেন। দিবসটির পরিচালনা করেন,বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বান্দরবান জেলার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ক্যছেন।
আখ চাষী সুইচিং মং মার্মা বলেন, এক সময় তামাক চাষ করতাম, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক সহকারী বসন্ত কুমার তঞ্চঙ্গ্যার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে গত বছর ৩৩ শতক জমিতে আখ চাষ করি। এতে জমি লাগিয়ত, চারা, সার, কীটনাশকসহ সর্বমোট ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তাছাড়া পরিশ্রমও কম হয়েছে। আখ বিক্রি করে ইতিমধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা পেয়েছি। আরও প্রায় ২২ হাজার টাকার আখ ক্ষেতে আছে।
দিবসে বক্তারা বলেন, তামাক চাষের ফলে জমি উর্বরতা হারানোর পাশাপাশি তামাক চাষী নিজের, পরিবারের অন্য সদস্যদের ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করে থাকে। তাই সবাইকে নিজের, পরিবেশের ও দেশের কথা চিন্তা করে তামাক চাষ পরিহার করে বিকল্প আখ চাষে এগিয়ে আসতে হবে। আর এ চাষে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন বক্তারা।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক সহকারী বসন্ত কুমার তঞ্চঙ্গ্যার বলেন,ক্ষতিকারক তামাক চাষের আগ্রাসন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তামাক চাষ থেকে ফেরাতে বিকল্প হিসেবে ২৮জন কৃষককে গবেষণা ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে আখের চাষ দেয়া হয়েছে।