লামায় দুই প্রধান শিক্ষকের দূর্নীতির অভিযোগ

purabi burmese market

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রুপসীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মুবিন ও লুলাইনমুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাসেল দাশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।

অনিয়ম দূর্ণীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।

রুপসিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য পিন্টুর অভিযোগে প্রকাশ, প্রধান শিক্ষক আবদুল মুবিন বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-২০১৯ইং অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত, টয়লেট মেরামত এবং প্রাক প্রাথমিকের জন্য ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বরাদ্দকৃত সাত লাখ টাকা ঠিকাদারের সাথে আতাত করে নামেমাত্র কাজ করে অর্ধেক টাকা এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থ সালে দরিদ্র ছাত্রদের উপবৃত্তির ৩১ হাজার ৮০০ টাকাও আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক।

এই বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আবদুল মুবিন বলেন, উপবৃত্তির টাকা আমার কাছে রক্ষিত আছে। দূর্গম যোগাযোগের কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা পৌঁছানো যায়নি।

অপরদিকে লুলাইনমুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সিংপাশ চৌধুরী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ২০১৮-২০১৯ অর্থ সালে রাজস্ব খাত হতে বরাদ্দকৃত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্লিপ হতে বরাদ্দকৃত ৭০ হাজার টাকা, প্রাক প্রাথমিক হতে ১০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা গ্রহন করেন প্রধান শিক্ষক রাসেল দাশ। এ বরাদ্দের টাকা সমুহ প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে যথাযথ ব্যবহার না করে, মনগড়া ব্যায় ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করে তিনি। শুধু তাই নয়, কমিটির সদস্যদেরকে অবগত না করে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অভিভাবক কমিটির সভাপতির সীল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ব্যায় প্রতিবেদনও দাখিল করেন প্রধান শিক্ষক।

dhaka tribune ad2

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক রাসেল দাশ কমিটির কাছে উপবৃত্তির টাকার হিসাব দিতে রাজি নন। এছাড়া বিদ্যালয়ে প্রায়ই সময় গড় হাজিরও থাকেন এ প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতা প্রধান শিক্ষকের ব্যাগের মধ্যে রক্ষিত থাকে। অফিসে বা শ্রেণি কক্ষে কোমলমতি শিশুদের সামনে ধুমপান করার অভিযোগও রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে নানা ধরণের হুমকী দেয় বলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ এলাকার ৪১জন গন্যমান্য ব্যাক্তি অভিযোগে স্বাক্ষর করেন।

সকল অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক রাসেল দাশ বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সিংপাশ চৌধুরী সম্প্রতি বিদ্যালয়ের নামীয় দোকান প্লট অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ করায় নানা অভিযোগ তুলে বিভ্রান্তি করছে মাত্র।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার চৌধুরী বলেন, দুই প্রধান প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।